নয়াদিল্লি: রাহুলের নেতৃত্বে একজোট হয়ে বিরোধীরা এবার যন্তর মন্তরে। ক্রমেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরা। সংসদ ভবন থেকে বাসে করে শুক্রবার তাঁরা গেলেন যন্তর মন্তরে। কেরালার ওয়ানারের সাংসদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলের সাংসদরাও। ছিলেন দোলা সেন, অপরূপা পোদ্দার এবং প্রসেন বন্ধ্যোপাধ্যায়। কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে, তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিতেই এই যন্তর মন্তর অভিযান।
আরও পড়ুন: নাম না করে অমিত শাহকে তোপ প্রধান বিচারপতি রামানার
শুক্রবার সকাল ১০ টায় রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের সংসদীয় কক্ষে সমস্ত বিরোধী দলের সাংসদরা বৈঠক করেন। এদিনের অধিবেশনে ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংকে তীব্র সমালোচনা করেন খড়গে। তিনি বলেন, সংসদীয় আইন অনুযায়ী বৃহস্পতিবার তৃণমূলের ছ’জন সাংসদকে সাসপেন্ড করেছিলেন তিনি। কিন্তু অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পর তাঁরা নিজেদের কাগজপত্র ও ব্যাগ নিতে কক্ষে আসতে চেয়েছিলেন। তখন বাধা দেওয়া হয় তাঁদের। এটা অন্যায় বলে শোর তোলেন খড়গে। এর পরেই চিৎকার শুরু হয় ট্রেজারি এবং বিরোধী বেঞ্চে থেকে। এরপর সেখান থেকে বাসে করে রওনা দেন যন্তর মন্তরের উদ্দ্যেশ্যে।
আরও পড়ুন: ফের ঊর্ধ্বমুখী দৈনিক সংক্রমণ, করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে শঙ্কা
This morning, a 3-member delegation of @aitcofficial MPs comprising Prasun Banerjee @MP_AITMC @Dolasen7 & @AparupaPoddar visited Kisan Sansad at Jantar Mantar to reaffirm our commitment to the Kisan movement and again show solidarity with farmers. #FarmLaws must be repealed pic.twitter.com/RJGEraE2x0
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) August 6, 2021
তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন একটি টুইট করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেস সাংসদ থেকে রাজ্যসভার বিরোধীরা নেতারা যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন তাতে তিনি আপ্লুত। তৃণমূলের তিন সদস্য দোলা সেন, অপরূপা পোদ্দার, প্রসেন বন্ধ্যোপাধ্যায় এদিন কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে যন্তর মন্তরে গেছেন। তাঁরা কৃষকদের পাশে আছেন। লোকসভায় পাশ হয়েছে কৃষি সংশোধনী বিল। বিলের তিনটি ধারা পরিবর্তন করার দাবিতে ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলনে নেমেছেন কৃষকরা। এই বিল তুলে নেওয়ার দাবিতে কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে সমস্ত বিরোধী দলের সদস্যরা একজোট হয়ে গেলেন যন্তর মন্তরে। বিরোধী শিবির গতকালই অভিযোগ তুলেছিল, তাঁদের ঐক্যে চিড় ধরাতে বিভাজনের নীতি নিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। কিন্তু এসব করে কোনও লাভ নেই। দিন শেষে তাঁদের ‘ঐক্যের বন্ধন’ সংসদের ভিতরে ও বাইরে ক্রমশ দৃঢ় হচ্ছে বলে অভিমত বিরোধীদের।
আরও পড়ুন: রাজীবের নাম বাদ, খেলরত্ন পুরস্কারের নাম মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন রাখলেন মোদি