জাতীয়তাবোধ, দেশের বন্দনা ও দেশপ্রেম। দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে থেকে কবি, সাহিত্যিককে বেছে নিয়ে ৬ মাস ৫০ হাজার টাকা করে উৎসাহ ভাতায় রীতিমতো উৎসাহ জুগিয়েছে ইউজিসি। কার্যত প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করতেই এই কাজ করে চলেছে তারা। বর্তমানে বিজেপি তাঁদের পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের এহেন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে ট্যুইট করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পুর্নেন্দু বসু। তিনি তাঁর বার্তায় লিখেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ও তাঁদের পরিচালিত শিক্ষা মঞ্জুরি কমিশনের বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ না খুলতে পারলেও বুদ্ধিজীবীদের অনেকেরই মত লেখার বিষয়টি কেন্দ্রের তরফে যদি ঠিক করা থাকে তাহলে তাতে সৃজনশীলতার কোন বিকাশ ঘটে না। অথচ কেন্দ্রের শাসক এবং বিজেপি দলনেতাদের যুক্তি – স্বাধীনতার ৭৫ বছরে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী, দেশপ্রেমী সাহিত্যিক, কবিদের প্রাপ্য সম্মান দিচ্ছেন। অর্থাৎ কেন্দ্রের শাসক দলের কথায় স্পষ্ট এই প্রধানমন্ত্রীর আগে কেউ এই ধরনের সম্মান প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পেতেন না। উৎসাহ ভাতা দিয়ে নতুন করে যা ইতিহাস সৃষ্টি করছেন মোদি। পূর্ণেন্দু বাবু তাঁর ট্যুইটে আরও লেখেন, যদিও এই বিষয়কে মান্যতা দেননি বিজেপি বিরোধী বুদ্ধিজীবীরা। তাঁদের মতে, উৎসাহ ভাতা দিতে কেন্দ্রীয় সরকার উগ্র জাতীয়তাবোধের চেষ্টা চালাচ্ছে। যা ভারতীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী ধারাকে ক্রমাগত নষ্ট করে করছে।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে দেশজুড়ে সরব হয়েছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষায় গৈরিকিকরনের। দেশজুড়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদী শক্তিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা সম্প্রতি ব্যার্থ করেছে রাজ্যবাসী। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের রায়দানের মধ্যে দিয়ে তা বুঝিয়ে দিয়েছে রাজ্যবাসী। স্পষ্ট করেছে বাংলায় বিভেদের রাজনীতির কোনও জায়গা নেই। একদিকে দেশ জুড়ে চালানো হচ্ছে ঘৃণার রাজনীতি, অন্যদিকে পাল্টে দেওয়া হচ্ছে ভারতীয় সংস্কৃতি তথা ভারতীয় ইতিহাসকে।
সম্প্রতি যার প্রমান মিলেছে উত্তরপ্রদেশের পাঠ্যসূচিতে। সেখান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। অর্থাৎ সংস্কৃতির মান ভুলে নিজেদের মতো করে তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে ইতিহাসকে। ফলে ভারতবর্ষের ইতিহাসকে বিকৃত করে দেশের সম্প্রতির মধ্যে চিড় ধরিয়ে, বিভেদ সৃষ্টি করে, নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করতেই উঠে পরে লেগেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যা স্পষ্ট উঠে এসেছে মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর সোশ্যাল মিডিয়ায়র বক্তব্যে।
আরও পড়ুন বিক্ষোভ লাল-হলুদ সমর্থকদের