ওড়িশা: দেশজুড়ে চওড়া হচ্ছে মহামারির থাবা। ভিড় এড়াতে সমস্ত তীর্থস্থানে বন্ধ রাখা হয়েছে জনসমাগম। গত বছরের পর এ বছরেও রথযাত্রায় ভক্তশূন্য থাকবে শ্রীক্ষেত্র। তবে শ্রী জগন্নাথের রথযাত্রা হবেই। প্রথমে স্নানযাত্রা, নিভৃতবাস ও অঙ্গরাগের পর ভুবনেশ্বরের উদ্দেশে গড়ায় রথের চাকা। পুরীর দ্বৈতপতির কথায় এক বছর বাধা পড়লে ১২ বছরের জন্য থেমে যায় রথের চাকা। বন্ধ হয় নব কলেবর অনুষ্ঠান। পুরীর রথযাত্রার ইতিহাস অবশ্য অন্য কথা বলছে। সব মিলিয়ে ৩২ বছর বন্ধ ছিল রথযাত্রা। ১৫৬৮ সাল থেকে ১৭৩৫ সালের মধ্যে গড়ায়নি রথ। কারণ ওড়িষা ও বাংলা জুড়ে ভিনদেশীদের শাসন। ১৫৬৮ সালে বাংলার সুলতান সুলেইমান কিররানির জেনারেল কালা পাহাড় হামলা চালান পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। সেই সময় হামলার হাত থেকে দেব-বিগ্রহ রক্ষা করতে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ওড়িশায় বাতিল রথযাত্রা
১৫৬৮ থেকে ১৫৭৭ সাল পর্যন্ত টানা ৯ বছর বন্ধ রাখতে হয়েছিল পুরীর রথযাত্রা। এরপর ১৬০১ সাল। তত্কালীন বাংলার নবাবের সেনাপতি মির্জা খুররাম পুরীর মন্দিরে হামলা চালায়। বিগ্রহগুলিকে রক্ষা করতে পুরী থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে কপিলেশ্বরের পঞ্চমুখী গোসানি মন্দিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সে বছরও রথযাত্রা বন্ধ ছিল। ১৬২১ এবং ১৬২২ সাল, সুবেদার আহমেদ বেগের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বানাপুরের মন্দিরে। ১৬৯২ সাল থেকে টানা ১৩ বছর বন্ধ ছিল পুরীর রথযাত্রা। নেপথ্যে সেই শাসকদের রক্তচক্ষু। ১৭৩৫ সালেরপর থেকে টানা চলছে পুরীর রথ।