ওয়েবডেস্ক- ওড়িশায় (Orissa) যৌন লালসার (sexual desire) শাস্তি! দীর্ঘদিন ধরে যৌন নিপীড়নের শিকার, অভিযুক্তকে হত্যা (Murder) করে তাকে পুড়িয়ে দিলেন (Burn body) মহিলারা। মৃতের বয়স ৬০। পুলিশ সূত্রে খবর, ওড়িশার গজপতি জেলায় ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে মহিলাদের উপর যৌন অত্যাচার চালাত।
এতদিন পর সহ্যের বাদ ভাঙল, আইন হাতে তুলে নিলেন নির্যাতিতারা। অভিযুক্তকে প্রথমে হত্যা তার পর পুড়িয়ে মেরে ফেললেন অত্যাচারিত মহিলারা। এই ঘটনায় মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৮ জনই মহিলা।
গজপতি জেলার মোহনা থানার আধিকারিক বসন্ত শেঠি জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না বলে, পরিবার একটি নিখোঁজ ডাইরি করেন। সেই নিখোঁজ মামলার তদন্ত করতে নেমে জানা যায়, ওই ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। খুনের পর দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। গ্রাম থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে জঙ্গলের কাছে একটি পাহাড়তলির কাছ থেকে উদ্ধার হয় কিছু হাড় এবং ছাই।
আরও পড়ুন- অপারেশন সিঁদুরের পরেই বড়সড় সিদ্ধান্ত, ডিজিএমও পদ থেকে সরানো হল রাজীব ঘাইকে
এই ঘটনায় গ্রামের একজন ওয়ার্ড সদস্য-সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয় গত ৩ তারিখে। গ্রামেরই ৫২ বছর বয়সি এক মহিলাকেও ধর্ষণ করেছিল ওই ব্যক্তি। পরে গ্রামের আর যে মহিলারা ওই ব্যক্তির কাছে যৌন লালসার শিকার হন, তারা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন। সেখানেই তারা অভিযুক্তকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। অভিযুক্ত যখন ঘুমিয়েছিল, তখন ৫২ বছরের ওই নিগৃহিতা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। তাঁকে সাহায্য করেন অন্য মহিলারা ও আরও দুই ব্যক্তি।
পুলিশের দাবি, ধৃত মহিলাদের বয়ান অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে ওই ব্যক্তির লালসার শিকার হয়েছেন। যাতে আর এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য এই শাস্তি দিয়েছেন তাঁরা।
গজপতি জেলার পুলিশ সুপার যতীন্দ্র কুমার পান্ডা জানিয়েছেন, ওই মহিলারা এর আগে কোনও দিনই পুলিশের সাহায্য চাইতে আসেননি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধেও তাদের কাছে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি।
দেখুন আরও খবর-