ওয়েব ডেস্ক: ভারতের (India) সঙ্গে সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনার আবহে তুরস্ক যখন প্রকাশ্যে পাকিস্তানের (Pakistan) পাশে দাঁড়িয়ে অস্ত্র ও ড্রোন পাঠিয়েছে, তখন ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এবার পুনের ব্যবসায়ীরা তাঁদের জবাব দিলেন বাণিজ্যিক আঘাতে। আপেল আমদানি বন্ধ করার পর এবার ঘোষণা করা হয়েছে—তুরস্কের হ্যাজেলনাট, খুবানি, খেজুর-সহ কোনও শুকনো ফল আর আমদানি করা হবে না।
‘স্পাইস অ্যান্ড ড্রাই ফ্রুটস অ্যাসোসিয়েশন’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অতীতে বিপদের সময়ে ভারত সবসময় সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে তুরস্কের দিকে। কিন্তু সেই দেশই এবার ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতেছে পাকিস্তানের হাত ধরে। অস্ত্র ও ড্রোন পাঠিয়ে ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে তারা। এই বিশ্বাসঘাতকতার জবাব দিতে তাঁরা তুরস্কের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নীরব মোদির জামিনের আবেদন খারিজ
শুধু বাণিজ্য নয়, শিক্ষাক্ষেত্রেও প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই তুরস্কের ইনোনু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে পুরনো চুক্তি বাতিল করেছে। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়াও। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তাই এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার।
পাকিস্তান যেসব ড্রোন দিয়ে ভারতের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে, সেগুলির বেশিরভাগই তুরস্ক ও চীনের তৈরি। যদিও ভারতীয় সেনা এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দক্ষতার সঙ্গে সেই হামলা প্রতিহত করেছে। উদ্ধার হওয়া ধ্বংসস্তূপ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে—ড্রোনগুলির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ তুরস্ক থেকেই সরবরাহ করা হয়েছিল।
এই প্রেক্ষাপটেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে বয়কটের ডাক উঠছে। পর্যটন থেকে শুরু করে বাণিজ্য, শিক্ষাক্ষেত্র থেকে সংস্কৃতি—তুরস্কের প্রতি ভারতের মনোভাব ক্রমশই কঠোর হয়ে উঠছে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তুরস্ককে সবদিক থেকে বিচ্ছিন্ন করাই এখন মূল লক্ষ্য ভারতীয়দের।
দেখুন আরও খবর: