নয়াদিল্লি: ব্যক্তিগত কারণে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (Public Prosecutor of the Enforcement Directorate) পদ থেকে পদত্যাগ করেলেন আইনজীবী নীতেশ রানা (Advocate Nitesh Rana)। অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার বিষয়ে ইডির পক্ষে সওয়াল করেছেন। পাশাপাশি বিজয় মালিয়ার (Vijay Mallya) বিরুদ্ধে টাকা তছরুপ (Maney Laundering) মামলার মতো হাই প্রোফাইল বিষয়ে ইডির পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছারাও পশ্চিমবঙ্গের গরু পাচার মামলাতেও (Cattle Scam) ইডির হয়ে সওয়াল করেছেন তিনি। বিশেষত, এই মুহূর্তে যখন গরু পাচার কাণ্ডে দিল্লিতে রয়েছেন অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal), ঠিক তখনই আচমকাই ইডি আইনজীবীর পদত্যাগ ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করলেও, উপর মহলের থেকে তাঁকে চাপ দিয়ে এই পদ থেকে সরানো হয়ে থাকতে পারে।
আইনজীবী নীতীশ রানা (Advocate Nitesh Rana) ব্যক্তিগত কারণে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটরের (Public Prosecutor of the Enforcement Directorate) পদ থেকে পদত্যাগ করছেন বলে জানান। একইসঙ্গে তিনি কারও চাপে এই সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানান তিনি। ২০১৫ সাল থেকে একজন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর হিসাবে, রানা বেশ কয়েকটি হাই-প্রোফাইল মামলায় ফেডারেল সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করেন। লস্কর-ই-তৈয়বার বিরুদ্ধে জম্মু ও কাশ্মীর সন্ত্রাসী অনুসন্ধান মামলার মতো বিষয়ে ইডি-র প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
আরও পড়ুন: India | Russia | ভারত-রাশিয়ার মধ্যে বাড়ছে বিমান পরিষেবা, চুক্তি সংশোধনে রাজি দুই দেশ
তিনি বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর হিসাবে বেশ কয়েকটি হাই-প্রোফাইল মামলা যেমন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী চিদম্বরম (P Chidambaram), কর্নাটক কংগ্রেস প্রধান ডি কে শিবকুমার, আরজেডি প্রধান তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Prased yadav) এবং তাঁর পরিবার, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারাণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় Abhishek Banerjee, এয়ার ইন্ডিয়ার স্ক্যাম (Air India Scam), নীরব মোদি (Nirav Modi), মেহুল চোকসি (Mehul Choksi) এবং ভূষণ পাওয়ার অ্যান্ড স্টিলের বিরুদ্ধে হাই-প্রোফাইল মানি লন্ডারিং মামলা, ব়্যানব্যাক্সি রেলিগেয়ার জালিয়াতি, স্টার্লিং বায়োটেক কেলেঙ্কারি এবং রবার্টস ফেডারেল সংস্থার মতো বিভিন্ন মামলায় ইডির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। একইসঙ্গে মানি লন্ডারিং মামলায় ইংল্যান্ডের আদালতে ইডি-র হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন এই আইনজীবী। তবে আচমকাই তাঁর এই পদত্যাগ ভালোভাবে দেখছে না কোনও মহল। ঠিক কী কারণে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ইস্তফা দিলেন তিনি, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।