ওয়েবডেস্ক- ২২ দিনের মাথায় মুক্তি পেয়েছেন পাক রেঞ্জার্সের হাতে বন্দি জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ (Purnam kumar Shaw) । আদতে বাংলার রিষড়া বাসিন্দা জওয়ান পূর্ণম পঞ্জাবের ফিরোজপুরে বিএসএফ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আজ বুধবার ১৪ মে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ দড়ি টানাটানির পর পূর্ণমকুমার সাউ আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত পার করেন। তবে ভারতও রাজস্থানে (Rajasthan) আটক পাক রেঞ্জার্সকে (Pak Rangers) মুক্তি দিল। অর্থাৎ একদিকে যখন পূর্ণমের মুক্তি, অন্যদিকে ভারতে আটক পাকিস্তান জওয়ানের মুক্তি। সংঘর্ষ বিরতির পর বন্দি বিনিময় করল দুই দেশ। পঞ্জাব সীমান্ত থেকে আটক বিএসএফ জওয়ানকে মুক্তি দেওয়ার পরেই রাজস্থান থেকে আটক পাক রেঞ্জারকে মুক্তি দিল ভারত।
বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ পঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরে মোতায়েন ছিলেন। গত ২৩ এপ্রিল ফিরোজপুর বর্ডারে ডিউটি করার সময় পাক রেঞ্জারের হাতে বন্দি হন। পূর্ণম সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল। শারীরিক ক্লান্তির কারণে তিনি পাক সীমানায় ঢুকে পড়েন। তখনই তাকে আটক করে পাক রেঞ্জার্স। স্বামীকে ফেরাতে হিমাচল প্রদেশের কাংড়ায় অবস্থিত বিএসএফের সদর দফতরেও গিয়েছিলেন স্ত্রী রজনী।
আরও পড়ুন- ‘অপারেশন সিঁন্দুর’, রাষ্ট্রপতিকে যাবতীয় আপডেট দিলেন ভারতের তিন বাহিনীর প্রধান
২২ এপ্রিল পহেলগামে নরসংহারের পরেই গত ৩ মে রাজস্থানে সীমান্ত লঙ্ঘন করার অপরাধে বন্দি হন এক পাক রেঞ্জার। বেশ কয়েকবার ফ্ল্যাগ মিটিং হয়েছে দুই দেশের, কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।
গত ১০ মে ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির পর সমস্যা সমাধানে আশার আলো দেখা শুরু হয়। অবশেষে বুধবার দুই দেশই বন্দিদের প্রত্যর্পণ করল তাঁদের দেশে। জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউকে মুক্তি দেওয়ার পরেই পাকিস্তানি রেঞ্জার মোহাম্মদ্দুল্লাহ্কেও (Pakistani Ranger Mohammadullah) মুক্তি দিয়েছে ভারত বলে পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
প্রোটোকল মেনে দুই দেশ বন্দিদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া কার্যকর করেছে। বিএসএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কনস্টেবল পূর্ণমকুমার সাউকে প্রত্যর্পণ করা সম্ভব হয়েছে। পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সঙ্গে নিয়মিত ফ্ল্যাগ মিটিং সহ অন্যান্য প্রক্রিয়া চালিয়ে গেছে তারা।
দেখুন আরও খবর-