ওয়েবডেস্ক: যোগযোগ পরিষেবাকে আরও উন্নত করতে রেল ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার (Modi Government)। এবার বহু প্রতীক্ষিত জম্মু- কাশ্মীরের (Jammu kashmir) রিয়াসিতে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলা নববর্ষের পরেই এই উদ্বোধনের দিনক্ষণ স্থীর করা হয়েছে।
আগামী ১৯ এপ্রিল (19 April) বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু (highest railway bridge in the world) উদ্বোধন হবে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে। সোমবার এক বিবৃতি দিয়ে এই কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র সিং। উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী সেতুর উপর দিয়ে একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পরিষেবাও শুরু করবেন বলে জানা গেছে।
চেনাব রেল সেতু (Chenab Railway Bridge) ভারতীয় ভূখণ্ড জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলার চেনাব নদীর উপর নির্মিত একটি রেল সেতু। এটি একটি ইস্পাত এবং কংক্রিট দিয়ে তৈরি হয়েছে। যা ১৩১৫ নদীর ঘাট জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। কাঠামোটি একটি অ্যাপ্রোচ ব্রিজ নিয়ে গঠিত যা ৫৩০ মিটার (১৭৪০ ফুট) লম্বা এবং একটি ৭৮৫ মিটার (২,৫৭৫ ফুট) লম্বাডেক আর্চ ব্রিজ।
আরও পড়ুন: শুল্ক যুদ্ধ্বের জেরে ফের ভারতের শেয়ার বাজারে ধস, সেনসেক্স পড়ল ২২২৭ পয়েন্ট
জম্মু থেকে উত্তরে কাটরা হয়ে দুর্গম পার্বত্য পথ বেয়ে উপত্যকার প্রবেশপথে রয়েছে সেতু লাগোয়া উচ্চতম স্তম্ভটি। উপত্যকার প্রবেশদ্বার রিয়াসি স্টেশনের একাংশও ওই ১০৫ মিটারের স্তম্ভ বহন করছে।
এটি সমাপ্তির পরে প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরেই গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হয়েছে। ২৬৬ কিমি/ঘন্টা বেগে বাতাস সহ্য করার ক্ষমতা রাখে। বিশেষ ইস্পাত দিয়ে নির্মিত এই সেতু, যা রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রা পর্যন্ত বিস্ফোরণ এবং ভূমিকম্পের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী। আনুমানিক ১২০ বছর আয়ু। ১৫ বছর পর্যন্ত ক্ষয়-প্রতিরোধী রঙ প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। তা ছাড়াও এই সেতুর নিজস্ব নিরাপত্তাবেষ্টনীও থাকবে।
প্রযুক্তিবিদদের দাবি, মাঝারি মাত্রার বিস্ফোরণেও ক্ষতি হবে না এই সেতুর। কারণ, নাশকতা প্রতিরোধের দিকটিতে বিশেষ ভাব নজর দেওয়া হয়েছে।
রেলমন্ত্রক সূত্রের খবর, সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে, আনুমানিক ২৮ হাজার কোটি টাকা। প্রতিকূল আবহাওয়া ও হিমালয়ের রুক্ষ ভূখণ্ডের কারণে সেতুটিকে প্রবল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।
২০০৪ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয়, কিন্তু নিরাপত্তার কারণে বেশ কিছুটা দেরি হয়। ২০১০ সালে নকশা সমন্বয়ের পর কাজ পুনরায় শুরু হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের আশা, এই সেতু কাশ্মীর অঞ্চলকে আরও উন্নত করবে। শিল্প ও কৃষি পণ্যের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে, ফলে অর্থনৈতিক উন্নতির প্রবল সম্ভাবনা।
দেখুন অন্য খবর: