কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: কর্নাটকের হিজাব (Karnataka Hizab Row) নিয়ে শোরগোলের পর এ’বার জম্মুতে দু’পাট্টা (Jammu Dupatta Controversy) বিতর্ক। শিখ সম্প্রদায়ের অভিযোগ, বেছে বেছে তাঁদের কন্যা সন্তানদের টার্গেট করা হচ্ছে জম্মুর বিভিন্ন স্কুলে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের দু’পাট্টা মাথায় জড়িয়ে আসতে নিষেধ করেছে বলে অভিযোগ। এমনকি কোনও কোনও ছাত্রীকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট ধরিয়ে স্কুল থেকে বহিষ্কার করাও হয়েছে। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন জম্মুর শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ।
জম্মুর শিখ সম্প্রদায়ের দাবি, দু’পাট্টা মাথায় জড়িয়েই মেয়েদের তাঁরা স্কুলে পাঠাবেন। এই দাবি নিয়ে একাধিক স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অভিভাবকদের সরাসরি সংঘাত বেঁধে গিয়েছে। কেন্দ্রের সরকারের কাছে অভিভাবকদের প্রশ্ন, ‘এ কোন গণতান্ত্রিক দেশে তাঁরা বাস করছেন? কোথায় গেল সবকা সাথ সবকা বিকাশের প্রতিশ্রুতি? প্রথমে হিজাব নিয়ে সমস্যা এখন শিখ সম্প্রদায়কে টার্গেট করছে সরকার। শিখদের পাগড়িকে চ্যালেঞ্জ করছেন, মেয়েদের দু’পাট্টাকে চ্যালেঞ্জ করছেন। এটা আমাদের সম্প্রদায়ের উপর সরাসরি হামলা। এর শেষ দেখে ছাড়ব।’
সরকারের কাছে শিখ সম্প্রদায়ের দাবি, এই সমস্যার সমাধানে সরকার উদ্যোগ নিক। নোটিফিকেশন দিয়ে জানাক স্কুলে এই ধরনের আদৌ কোনও নিয়ম চালু আছে কিনা। না হলে ভবিষ্যতে বহু পড়ুয়া এবং অভিভাবক এই সমস্যার সামনে পড়বেন। আর এক অভিভাবকের বক্তব্য, স্কুল কর্তৃপক্ষের তো লজ্জায় ডুবে মরে যাওয়া উচিৎ। হিন্দু ধর্মের প্রতি তাঁদের কোনও বিদ্বেষ নেই। কিন্তু সরকার আর কিছু স্বার্থান্বেষী ইচ্ছাকৃত ভাবে শিখেদের টার্গেট করেছে বলে তাঁদের অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Covishield-Covaxin Price Cut: ১৮ ঊর্ধ্বদের বুস্টার ডোজ শুরুর আগে দাম কমল করোনা টিকার
গত কয়েক মাসে কর্নাটকে হিজাব পরা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। রাজ্যে তা নিয়ে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে। এক কলেজের ছ’জন ছাত্রীকে হিজাব পরতে নিষেধ করা হয়। যা থেকে বিতর্কের সূত্রপাত। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। কর্নাটক হাইকোর্ট সম্প্রতি রায়ে জানায়, ইসলাম ধর্মাচরণে হিজাব পরা আবশ্যক নয়। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে।