দেশে করোনায় মোট ৩০ জন গর্ভবতী মহিলার মৃত্যু হয়েছে৷ ১ এপ্রিল ২০২০ থেকে ১৪ মে ২০২১ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৫৩০ জন গর্ভবতী মহিলা কোভিডে আক্রান্ত হন৷ তার মধ্যে ৩০ জনের মৃত্যু হয়৷ যা মোট আক্রান্তের সংখ্যার ২ শতাংশ। এরমধ্যে ২৮ জনের মৃত্যু হয় কোভিডের কারণে নিউমোনিয়া হয়ে। একটি সমীক্ষার পর এই তথ্য তুলে ধরেছে আইসিএমআর দিল্লি ।
করোনার প্রথম ঢেউ ধরা হয়েছে ১ এপ্রিল ২০২০ থেকে ৩১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত। দ্বিতীয় ঢেউ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ থেকে ১৪ মে ২০২১ পর্যন্ত। এই দুই সময়ের মধ্যে সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, প্রথম ঢেউয়ে ১ হাজার ১৪৩ জন মহিলা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, যার মধ্যে ১৬২ জন অর্থাৎ ১৪.২ শতাংশ গর্ভবতী মহিলার উপসর্গ ছিল। কিন্তু, দ্বিতীয় ঢেউয়ে মোট ৩৮৭ জন গর্ভবতী মহিলা আক্রান্ত হলেও, তার মধ্যে ১১১ মহিলার উপসর্গ যুক্ত। যা দ্বিতীয় ঢেউয়ে মোট আক্রান্তের ২৮.৭ শতাংশ৷ প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় শতাংশের বিচারে যা দ্বিগুণ । জটিলতা তৈরির ক্ষেত্রেও প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেশি সংখ্যক করোনা আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।
প্রথম ঢেউয়ে ১ হাজার ১৪৩ জনের মধ্যে ১৬২ জন গর্ভবতী মহিলা জটিলতায় ভুগছেন, অর্থাৎ ০.৭শতাংশ। দ্বিতীয় ঢেউয়ে ৩৮৭ জনের মধ্যে ২২ জন অর্থাৎ ৫.৭ শতাংশ মহিলার ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে জটিলতা। এই তথ্যই প্রমাণ করছে গর্ভবতী এবং সন্তান প্রসব করার পর মহিলাদের টিকাকরণ জরুরী, দাবি আইসিএমআরের।