আগরতলা: নির্বাচন কমিশনের (Election Commmission) নির্দেশে ত্রিপুরায় (Tripura) তিন পুলিশ অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হল। জিরানিয়ার এসডিপিও (Jirania, SDPO) ছাড়াও জিরানিয়া এবং রানিরবাজার থানার দুই অফিসার ইনচার্জ শাস্তির কোপে পড়লেন। গত বুধবার ভোটের দিন ঘোষণার পরই জিরানিয়ায় কংগ্রেসের (Congress) মিছিলের উপর হামলা হয়। আক্রান্ত হন কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক (Congress observers) অজয় কুমার-সহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা-কর্মী। অজয় কুমার হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই তিন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন (Election Commission) তারপরই রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং পুলিশের ডিজিকে ওই তিন পুলিশ অফিসারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
কমিশন রাজ্য প্রশাসনের ওই দুই শীর্ষ কর্তাকে বলেছেন, সব রাজনৈতিক দল যাতে নির্বিঘ্নে প্রচার এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারে, তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। এ ব্যাপারে কোনও শৈথিল্য বরদাস্ত করা হবে না। তাঁদের প্রতি আরও নির্দেশ, তিন অফিসারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। মুখ্যসচিব এবং ডিজির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, আধা সামরিক বাহিনী থাকা সত্ত্বেও কেন জিরানিয়ার পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে গেল।
আরও পড়ুন: Tripura Assembly Election Notification: ত্রিপুরায় নতুন ভোটার ৬৫০৪৪, জারি ভোটের বিজ্ঞপ্তি
বিরোধীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে নির্বাচন কমিশন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে জিরানিয়ার ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। ভোটের দিন ঘোষণার আগে সিপিএম(CPM) এবং কংগ্রেসের (Congress) তরফে আরও ৫৪টি এ ধরনের অভিযোগ এসেছে কমিশনের কাছে। তা নিয়েও কমিশন সিইও-র (CEO) কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে। নির্বাচন দফতরের রিপোর্টের ভিত্তিতেই কমিশন অবসরপ্রাপ্ত দুই আইপিএস এবং এক আইএএস অফিসারকে বিশেষ পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করে। কমিশনের নির্দেশ, ওই পর্যবেক্ষকরা আগরতলায় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। দরকার হলে তাঁরা আরও বাহিনী নিয়োগের সুপারিশ করবেন।
এদিকে কমিশন সিইওকে সুবিধা অ্যাপকে(Suvidha App) আরও কার্যকর করার কথা বলেছে। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলি সভা, সমাবেশ, রোড শো ইত্যাদির আবেদন করতে পারবে।