কলকাতা: প্রয়াগরাজ হত্যাকাণ্ডে পুলিসের এফআইআরে চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে চিঠি দিল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের অ্যাপয়েন্টমেন্টও চাওয়া হয়েছে। রবিবার তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। সেই টিমে ছিলেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে, জ্যোৎস্না মাণ্ডি ও উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল নেতা ললিতেশ ত্রিপাঠী।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘প্রয়াগরাজে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিসের এফআইআরে চরম গাফিলতির বিষয়টি উঠে এসেছে। পরিবারের সদস্য সুনীল যাদব যে সমস্ত অভিযোগ করেছেন, তার অধিকাংশই এফআইআর থেকে বাদ দিয়েছে পুলিস। সুনীলের স্ত্রী ও বোনের বিবস্ত্র রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অনুমান, ওই দু’জনকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু এফআইআরে এই ধর্ষণের বিষয়টিরও উল্লেখ নেই। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, এই বিষয়টি বারবার উল্লেখ করা হলেও পুলিস তা এফআইআরে রাখেনি।’
নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন
সম্প্রতি প্রয়াগরাজে একই পরিবারের পাঁচজনকে খুনের পর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ মর্মান্তিক ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় দু’বছরের এক শিশুরও৷ নিহতরা হলেন, রাম কুমার যাদব (৫৫), তাঁর স্ত্রী কুসুম দেবী (৫২), মেয়ে মণীষা (২৫), পুত্রবধূ সবিতা (২৭) এবং নাতনি মীনাক্ষী (২)৷ ছেলে সুনীল এবং নাতনি সাক্ষী সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না৷ তাঁরা বেঁচে যান৷ মৃতদেহগুলিতে ক্ষতের চিহ্ন মেলে। সিনিয়র পুলিস অফিসার অজয় কুমার জানিয়েছিলেন, প্রত্যেকের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে৷
Our leaders wrote to the @India_NHRC seeking an urgent appointment regarding the #Prayagraj incident.
Family members of the victims had flagged several gruesome details to Prayagraj police, which were missing in the FIR. Such details must not be ignored!
WE DEMAND JUSTICE. pic.twitter.com/1siMnqbyC6
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) April 26, 2022
এই বাড়ি থেকেই পাঁচজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে
শনিবার সকাল থেকেই এই ঘটনায় তপ্ত দেশের রাজনীতি। হত্যাকাণ্ডের তদন্তে তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে৷ স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছিলেন, তাঁরা রাম যাদবের বাড়িতে আগুন দেখতে পেয়ে পুলিসকে খবর দেন৷ পুলিস ও দমকল পৌঁছে ঘর থেকে পাঁচজনের দেহ উদ্ধার করে৷ বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ও দেশের প্রতিটি বিরোধী দল। চাপে পরে এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। দোষীদের কোনও ভাবেই ছাড়া হবে না বলে পুলিস এবং প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।