ওয়েব ডেস্ক: বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে (Bihar Assembly Election) যে একটা বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছেন প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) ও তাঁর দল জন সুরাজ (Jan Suraaj), তা আগেই অনুমান করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে এই জল্পনা শুরু হয়েছিল যে দলের সুপ্রিমো নিজে কোন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে সেই জল্পনায় জল ঢেলে এবার পিকে জানিয়ে দিলেন যে, আসন্ন ভোটে তিনি প্রার্থী হচ্ছেন না। এবারের নির্বাচনে না লড়ে সংগঠনের কাজে মনোনিবেশ করবেন বলে জানিয়েছেন পিকে।
গত রাতে যখন জন সুরাজ পার্টি রাঘোপুর আসনের প্রার্থী হিসেবে চঞ্চল সিংয়ের নাম ঘোষণা করে, তখনই পরিষ্কার হয়ে যায় যে প্রশান্ত কিশোর নিজে প্রার্থী হচ্ছেন না। এর আগে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যদি ভোটে লড়েন, তাহলে প্রার্থী হবেন নিজের জন্মভূমি কারগাহা বা আরজেডির রাঘোপুর আসন থেকে। কিন্তু প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় কারগাহার থেকে রীতেশ রঞ্জন পাণ্ডে এবং রাঘোপুর থেকে চঞ্চল সিংয়ের নাম ঘোষণার পর এটা পরিষ্কার হয় যে, এবার মাঠে নামছেন না পিকে।
আরও পড়ুন: ভোটমুখী বিহারে পিকে-র চমক! ১১৬ আসনে কার ভাগ্যে জুটল টিকিট?
কিন্তু কেন নির্বাচনি ময়দান থেকে নিজেকে দূরে রাখলেন প্রশান্ত কিশোর। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিহারের রাঘোপুর আসনটি বর্তমানে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের দখলে। তাই সেখান থেকে লড়াই করা তাঁর জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হত। পাশাপাশি, নির্বাচনে প্রার্থী হলে তিনি একটিমাত্র কেন্দ্রে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়তেন, যা পুরো রাজ্যে জন সুরাজের প্রচারে প্রভাব ফেলতে পারত। একথাই তিনি জানিয়েছেন এর কারণ হিসেবে। তিনি বলেন, “আমি এবার সংগঠনের কাজে বেশি মন দেব।”
তবে আসন্ন নির্বাচনে এনডিএ-র হার দেখছেন পিকে। একসময়ের ভোটকুশলী বিহারের বর্তমান সরকার নিয়ে কড়া মন্তব্য করে বলেন, “এনডিএ-র পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। নীতীশ কুমার আর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফিরছেন না।” তাঁর দাবি, জেডিইউ এবার ২৫টির বেশি আসন জিততেও হিমশিম খাবে। তবে নিজের দলের লক্ষ্যের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “আমরা ১৫০টির কম আসন পেলে সেটাকে আমাদের পরাজয় হিসেবে গণ্য করব।”
দেখুন আরও খবর: