মুম্বই: ভারতীয় ক্রিকেটের ঈশ্বর শচীন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। ক্রিকেট জীবনে কখনও আলটপকা মন্তব্য করেননি, বিতর্কে জড়াননি তিনি। অবসর পরবর্তী জীবনেও কোনও কিছুতে মুখ খোলেননি। কিন্তু তাঁর এই নীরব অবস্থানই বিতর্কের জন্ম দিল। শচীনের মুম্বইয়ের বাড়ির বাইরে পড়েছে বিশাল বড় পোস্টার। এই মূহূর্তে খবরের শিরোনামে থাকা কুস্তিগিরদের আন্দোলন (Wrestler Protest) নিয়ে কোনও কথাই খরচ করেননি মাস্টার ব্লাস্টার। তা নিয়েই অসন্তোষ মুম্বইয়ের যুব কংগ্রেসের (Mumbai Youth Congress)। শচীনের বাড়ির সামনে পোস্টার ঝুলিয়েছে যুব কংগ্রেসই।
মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের (Brij Bhushan Sharan Singh) গ্রেফতার এবং অপসারণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধরনা চলছে। ধরনার পুরোভাগে রয়েছেন সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik), বজরং পুনিয়া (Bajrang Punia), বিনেশ ফোগটের (Vinesh Phogat) মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে পদকজয়ী কুস্তিগির। গত ২৮ মে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিন, তাঁদের টেনেহিঁচড়ে তুলে নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ।
আরও পড়ুন: French Open 2023 | ‘রাজনৈতিক’ বিতর্ক সঙ্গী করেই ফ্রেঞ্চ ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে জকোভিচ
শচীন কেন, দেশের কোনও ক্রিকেটারই কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়াননি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বেশ কিছুদিন আগে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ভারতের ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri) কিন্তু কুস্তিগিরদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। তাঁদের উপর পুলিশি অত্যাচারের নিন্দে করেছেন। সাক্ষী-বজরংদের পাশে প্রথম থেকেই আছেন জ্যাভেলিন তারকা নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী শুটার অভিনব বিন্দ্রাও (Abhinav Bindra) পাশে আছেন।
ভারতরত্ন শচীন এই ঘটনা নিয়ে মুখ না খোলায় ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর বাড়ির সামনে পোস্টার টাঙান যুব কংগ্রেসের কর্মীরা। সে কথা জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে মুম্বই পুলিশ এবং সেই পোস্টার খুলে নেয়।
প্রসঙ্গত, ২৮ মে-র ঘটনার পর রাগে দুঃখে অপমানে সমস্ত পদক গঙ্গায় বিসর্জন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সাক্ষীরা। অলিম্পিক্স এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে জেতা পদক গঙ্গায় বিসর্জন দিতে মঙ্গলবার হরিদ্বার গিয়েছিলেন সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik), বিনেশ ফোগট (Vinesh Phogat), বজরং পুনিয়া (Bajrang Punia)। হাজির হয়েছিলেন হর কি পৌরি ঘাটে। তাঁদের আটকে দেন নরেশ টিকাইত (Naresh Tikait) সহ কৃষক নেতা। আপাতত টিকাইতের জিম্মায় রয়েছে পদক। সেদিনই কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঁচদিনের সময়সীমা দিয়েছেন ভারতের কৃতী কুস্তিগিররা। এর মধ্যে ব্রিজভূষণকে গ্রেফতার এবং পদ থেকে বহিষ্কার না করা হলে তাঁরা আবার হরিদ্বারে আসবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।