ওয়েবডেস্ক- শ্রীনগরের (Srinagar) হজরতবল মাজারে (Hazratbal shrine) জাতীয় প্রতীক ভাঙচুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৬ জনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার নামাজের সময় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, যা সিসি ক্যামেরার ফুটেছে সামনে এসেছে। এই ভাবে মসজিদের ভিতরে ঢুকে মাজারে অশোকস্তম্ভ সম্বলিত উদ্বোধনী ফলন ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিজেপি (Bjp) এই ঘটনাকে পূর্বপরিকল্পিত সন্ত্রাসবাদ হিসেবে চিহ্নিত করে এনসি এবং পিডিপির সমালোচনা করেছে।
মেহবুবা মুফতি (Mehbooba Mufti) এবং ওমর আবদুল্লার (Omar Abdullah) ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছ বিজেপি। এই অভিযোগের জবাবে মেহবুবা মুফতি ও মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা প্রশ্ন তুলেছেন খুব প্রয়োজন ছিল ধর্মীয় একটি মাজারে জাতীয় প্রতীক স্থাপন করা? ওমর আবদুল্লার বক্তব্য, পাথর বসানোর কোন প্রয়োজন ছিল না। কাজটি যদি ঠিকঠাক হতো, তাহলে মানুষ নিজেরাই তা চিনতে পারতো।”মুফতিও তার বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন।
রাজ্যপাল মনোজ সিনহা এই ভাঙচুরের নিন্দা করে বলেছেন যে তিনি “গভীরভাবে মর্মাহত”।
জাতীয় প্রতীক বসানো নিয়ে মত পোষণ করেছেন ওয়াকফ বোর্ডের ভাইস চেয়ারপার্সন দারখশান আন্দ্রাবি একজন বিজেপি নেতা। আন্দ্রাবি ভাঙচুরে ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন। জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিতকারীদের আইন ভঙ্গকারী হিসেবে গণ্য করা উচিত। এই ধরনের ঘটনাকে ‘জঙ্গি’ তকমা দিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা এবং হজরতবলের বিধায়ক তনভির সাদিক বলেন, অশোকস্তম্ভ সম্বলিত ফলকটি ‘তাওহিদ’ (একেশ্বরবাদ) বিশ্বাসের বিরোধী। আমি কোনও ধর্মীয় পণ্ডিত নই কিন্তু ইসলামে মূর্তিপূজা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, সবচেয়ে বড় পাপ।” তার আরও সংযোজন, শ্রদ্ধেয় হজরতবল দরগায় একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা (ধর্মীয়) বিশ্বাসের পরিপন্থী।
আরও পড়ুন- ঝাড়খণ্ডে সারান্ডায় বাহিনীর গুলিতে নিহত শীর্ষ মাও নেতা
প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সকালে। নামাজ পড়তে আসা একদল ব্যক্তি অশোকস্তম্ভ সম্বলিত উদ্বোধনী ফলকে ভাঙচুর করে। এর বিরুদ্ধে স্লোগানও দেয় তারা। এদের মধ্যে থাকা একজন বলে মসজিদের ভিতরে ভাষ্কর্য স্থাপনের অনুমতি দেয় না ইসলাম। উপত্যকার নেতারা এটিকে ওয়াকফ বোর্ডের “ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার নির্লজ্জ প্রচেষ্টা” বলে অভিহিত করেছেন।
দেখুন আরও খবর-