নয়াদিল্লি: ২০১৯-এ বিপুল সংখ্যক আসন নিয়ে দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করেছে বিজেপি। মোদি সরকার গঠনের পর দু’বছর পেরিয়ে গেলেও একবারও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল করা হয়নি। এদিকে মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যই একসঙ্গে একাধিক মন্ত্রক সামলাচ্ছেন। কয়েকমাস ধরেই জল্পনা চলছে একাধিক রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দিকে মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তা জল্পনাই রয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে এবার মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন নমো।
আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় ৮ হাজার বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ
বুধবার সন্ধ্যেয় ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই বৈঠক হবে। বৈঠকে একাধিক মন্ত্রীর পারফরম্যান্স কেমন তা খতিয়ে দেখবেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবারের বৈঠকের অন্যতম লক্ষ্যই হল মন্ত্রীদের সামগ্রিক পারফরম্যান্স রিভিউ। এর পাশাপাশি দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে বৈঠকে। মন্ত্রিসভার রদবদলের জন্যই এই বৈঠক কিনা তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। এর আগে গত সপ্তাহে পূর্ণ এবং প্রতিমন্ত্রী নিয়ে নিজের বাসভবনে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
সেই বৈঠকের এক সপ্তাহের মাথায় মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সাধারণত মন্ত্রিসভার রদবদলের আগেই এ ধরনের বৈঠক হয়ে থাকে। মোদির মন্ত্রিসভায় ৬০ জন মন্ত্রী রয়েছেন। সেই সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে বলে খবর। মঙ্গলবার ক্যাবিনেট কমিটি জুলাই মাসের ১৯ থেকে অগস্টের ১৩ তারিখ পর্যন্ত অধিবেশন চালু রাখার প্রস্তাব দিয়েছে৷ বাদল অধিবেশন শুরুর আগেই প্রধানমন্ত্রী এই রদবদল সেরে নিতে চাইছেন, এমনটাই খবর সূত্রের।
আরও পড়ুন: রাজ্যে ব্ল্যাকফাঙ্গাস কাড়ল আরও ১ প্রাণ
নীতীশ কুমারের দল জেডিইউকে নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে। গত সপ্তাহেই দিল্লিতে মোদির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে কেন্দ্রে বঙ্গ বিজেপির প্রতিনিধিত্ব ও গুরুত্ব কিছুটা বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর। সেক্ষেত্রে বাংলা থেকে গেরুয়া শিবিরের বেশ কয়েকজন সাংসদ মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।