নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট কেন্দ্রের স্নায়ুচাপ বাড়াচ্ছে (Omicron in India)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে থাকা সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে এ পর্যন্ত ২১৩ জনের শরীরে ওমিক্রন চিহ্নিত হয়েছে (Omicron threat)। কিন্তু ১ থেকে ২১৩ হতে যে সময়টা লেগেছে, তা নতুন করে ভাবাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী (India PM) নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ওমিক্রন নিয়ে উদ্বিগ্ন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেরিয়ে যাওয়ার আগেই স্বাস্থ্যকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী (new COVID-19 variant)। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার এই বৈঠক রয়েছে।
ওমিক্রন নিয়ে কেন্দ্রের উদ্বেগের নানাবিধ কারণ রয়েছে। এক, ভাইরোলজিস্টদের দাবি, করোনাভারাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকে তিন গুণ বেশি সংক্রামক।
দুই, তৃতীয় ওয়েভের আশঙ্কা। করোনাভাইরাসের গতিপথ বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ফেব্রুয়ারিতে পিকে উঠবে ওমিক্রন। দৈনিক আক্রান্ত হতে পারে ১.৫ থেকে ২ লক্ষ। রোজ যদি গড়ে ২ লক্ষ করে ওমিক্রন সংক্রমণ হয়, তা হলে কয়েক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি কী ভয়াবহ আকার নিতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়েই সেই অভিজ্ঞতা হয়েছে ভারতের। তাই ওমিক্রন-যুদ্ধের প্রস্তুতিটা এখনই সেরে রাখতে চাইছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: Omicron India: ভারতে ফেব্রুয়ারিতেই শিখর ছোঁবে ওমিক্রন, দৈনিক সংক্রমণ হতে পারে ২ লক্ষ!
ওমিক্রন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ইতিমধ্যে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ এই চিঠি দিয়েছেন। রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের আগের ভ্যারিয়েন্টগুলির তুলনায় তিন গুণ বেশি সংক্রামক। ফলে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি হিসেবে নতুন করে ‘ওয়াররুম’ চালু করতে বলেছেন ভূষণ।
কন্টেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত করে এখন থেকেই নাইট কারফিউ চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তা। বিয়ে-সহ সামাজিক অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিতের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা-সহ কোভিড বিধিতেস যা-যা উল্লেখ রয়েছে, তা মেনে চলার ওপর জোর দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে কোভডি হাসপাতালগুলিকেও আবার যাবতীয় পরিকাঠামো-সহ তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।