মুম্বই: মেলালেন তিনি মেলালেন।
তাঁরা কথা বললেন। একই সোফার দুই প্রান্তে বসলেন। হাত মেলালেন। একজন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অন্যজন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্যের মঞ্চে আবারও বিজেপি-শিবসেনার সেই মেলবন্ধনের ছবি।
বিজেপি এবং শিবসেনার মধ্যে সুসম্পর্ক এখন নেই বললেই চলে। একসময়ের মিত্রতা আজ অনেকটাই তিক্ত। রাজনৈতিক ব্যবধান বেড়েছে বাল ঠাকরের দলের সঙ্গে বিজেপির। মহারাষ্ট্রের বিজেপির সঙ্গত্যাগ করেছে শিবসেনা। একসময় যে শিবসেনাকে সরকার গড়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। আরব সাগরের জল অনেকটা বয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক বিচ্ছেদ এই দুই পক্ষকে অনেকটা আলাদা করে দিয়েছে। কিন্তু লতা মঙ্গেশকর তাঁদের কাছে সমান গুরুত্বের, সমান আবেগের। সুর-সম্রাজ্ঞীর শেষকৃত্য একই সোফায় বসে সেই বার্তায় দিলেন মোদি-উদ্ধব।
এদিন বিমানবন্দরেই উদ্ধবের ছেলে আদিত্য ঠাকরেকে দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন আদিত্য। একটু গুঞ্জন অবশ্য তখন শোনা গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী এলেন, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব কোথায়? উলটে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের উপস্থিতি রাজনৈতিক রঙ চড়িয়েছিল অনেকটাই।
আরও পড়ুন: Lata Mangeshkar Final Rites: হাজার হাজার মানুষের মিছিলে শিবাজী পার্কের পথে লতা
গুঞ্জন যখন বেড়ে চলেছিল, ঠিক তখনই শিবাজি পার্কে মুখোমুখি হলেন তাঁরা। রাজনৈতিক কাঁটাতার ভেঙে গেল। উদ্ধবকে দেখে এগিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এগিয়ে গেলেন উদ্ধবও। হাত মেলালেন, সৌজন্য বিনিময় করলেন, কথা বললেন। একই সোফায় আসন ভাগাভাগি করলেন।
আজকের জন্য তাঁরা একই নৌকার সওয়ারি। লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন দুই মানুষ। এখানে রাজনীতি নেই, এখানে কোনও লড়াই নেই, এখানে বেড়াজাল নেই।