নয়াদিল্লি: অপু্ষ্টির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবার অলিম্পিয়ানদের সাহায্য চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ টোকিও অলিম্পিক্স ফেরত ক্রীড়াবিদ ও অ্যাথলেটিকদের সঙ্গে আলাপচারিতা সারেন তিনি৷ সেখানেই অলিম্পিয়ানদের কাছে একটি অনুরোধ রাখেন মোদি৷ তিনি জানান, দেশ থেকে অপুষ্টি দূর করতে খেলোয়াড়দের সহযোগিতা চান৷ অলিম্পিয়ানরা স্কুলে স্কুলে গিয়ে সঠিক ও সুষম আহার নিয়ে প্রচার করুন৷ এতে পড়ুয়াদের মধ্যে পুষ্টিকর খাবারের নিয়ে সঠিক জ্ঞান তৈরি হবে৷
আরও পড়ুন: ইতিহাস গড়ে দেশের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন বি ভি নাগারত্না
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উপস্থিত ছিলেন সোনাজয়ী নীরজ চোপড়া, ব্রোঞ্জজয়ী মীরাবাঈ চানু,ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় পিভি সিন্ধু, হকি দলের সদস্যরা৷ প্রত্যেকের সঙ্গে বেশ খোশমেজাজে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী৷ মেডেল জয়ীদের প্রশংসায় ভরিয়ে দেন৷ যাঁরা মেডেল জিততে পারেননি তাঁদেরও নানাভাবে উৎসাহিত করেন৷ মেডেল জিততে না পারার জন্য মন খারাপের কথা জানান এক অলিম্পিয়ান৷ তবে পরক্ষণেই তিনি বলেন, ‘হার জিত লেগেই থাকবে৷ কিন্তু আশা ছাড়ব না৷ খেলতে থাকব৷’ শুনে মোদি তাঁর পিঠ চাপড়ে দেন৷ বলেন, ‘এমনই মনোভাব থাকা উচিত৷ ১৩৫ কোটি দেশের মধ্যে এই ক’জন অলিম্পিকে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন৷ এটা কি ছোট ব্যাপার? আর গেলে যে সবাই মেডেল পাবে এটাও তো কথা নয়৷ অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ করাটাই বিরাট সাফল্যের ব্যাপার৷’
কথা বলতে বলতে মোদি এগিয়ে যান মহিলা হকি টিমের দিকে৷ মেডেল জিততে না পারার জন্য যখন রানি রামপালরা কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তখন ফোনে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে উৎসাহিত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ সেই কথা মনে করিয়ে রানি রামপাল বলেন, ‘স্বপ্নপূরণ না হওয়ায় সবাই একটু ভেঙে পড়েছিল৷ কিন্তু আপনি সেদিন ফোন করে উৎসাহিত করেছিলেন৷ বলেছিলেন, আমরা দেশের মন জিতে নিয়েছি৷ প্রধানমন্ত্রীর মুখে সেই কথা শুনে ভালো লেগেছিল৷’ মোদি বলেন, ‘এবার থেকে ফুটবল অথবা হকি খেলার প্রতি ঝোঁক বাড়বে৷ আপনারা দেশের মেয়েদের প্রেরণা জুগিয়েছেন৷ এই অলিম্পিক্সের পর বাবা-মায়েরাও সন্তানদের খেলাধূলার প্রতি উৎসাহিত করবে৷’ অলিম্পিয়ানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পিভি সিন্ধুও৷ তাঁকে দেখে আগে আইসক্রীম আনতে বলেন প্রধানমন্ত্রী৷
আরও পড়ুন: বিহারে ১১ দফার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফের নীতীশ তেজস্বীর টক্কর
আলাপচারিতার শেষে প্রধানমন্ত্রী অলিম্পিয়ানদের কাছে একটি বিশেষ অনুরোধ রাখেন৷ তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ আপনাদের কত ভালোবাসে সেটা অনুভব করেছেন৷ আগামী ২০২৩ সালের ১৫ অগস্টের মধ্যে প্রত্যেক অলিম্পিয়ান ৭৫টি স্কুলে গিয়ে অপুষ্টির বিরুদ্ধে প্রচার করুন৷ একঘণ্টা পড়ুয়াদের সঙ্গে সময় কাটান৷ তাদের সুষম আহারের উপকারিতা বোঝান৷ পাশাপাশি ওই স্কুলের বাচ্চাদের সঙ্গে একটু খেলাধূলো করুন৷ যাতে বাচ্চাদের মধ্যে খেলাধূলার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়৷’