নয়াদিল্লি: পহেলগাম কাণ্ডের পর প্রথমবার কাশ্মীরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সূত্রের খবর, কাশ্মীরের বহু প্রতীক্ষিত চেনাব ব্রিজ অবশেষে চালু হতে চলেছে। ৬ জুন এই ব্রিজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি সপ্তাহেই শ্রীনগর-কাটরা রেলপথের উদ্বোধন করতে কাশ্মীর যাবেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল এই রেলপথের উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তা বাতিল হয়। তার তিনদিন পরে ২২ এপ্রিল নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে পহেলগাঁওয়ে।
কাটরা থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত রেলপথের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। কাটরা থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত প্রথম ট্রেনটিই হতে চলেছে বিশেষ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। গত ১৯ এপ্রিল এই রেলপথের উদ্বোধন করতে কাশ্মীর যাওয়ার কথা ছিল মোদির। যদিও শেষ পর্যন্ত পূর্ব নির্ধারিত সেই কর্মসূচি বাতিল করা হয়। রেলের তরফে জানানো হয়, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাটরা স্টেডিয়ামে একটি জনসভাও রয়েছে। এটি চেনাবের উপর অবস্থিত বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল ব্রিজ। এই ব্রিজটি জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন প্রধানমন্ত্রী। ৪৩, ০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই স্বপ্নের প্রকল্পটিকে বাস্তবে রূপ দিতে ৪২ বছর সময় লেগেছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মহাকাশ মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৬ জুন বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল সেতু, চেনাব সেতু উদ্বোধন করবেন। সেতুটি জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেলওয়ে লিঙ্ক (USBRL) প্রকল্পের অংশ। আরও লেখেন, “ইতিহাস তৈরি হচ্ছে… আর মাত্র ৩ দিন বাকি!
আরও পড়ুন: ‘অপারেশন সিঁদুর’ সংসদে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষ অধিবেশনের দাবিতে চিঠি ইন্ডিয়া জোটের
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার কয়েকদিন পরে একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, পর্যটকদের উপর যে হামলা হতে পারে তার আগাম খবর গোয়েন্দারা দিয়েছিল। সেইমতো ওই অঞ্চলে ব্যাপক সতর্কতা জারি করা হয়। তবে দীর্ঘ তল্লাশির পরও কোনওরকম সাফল্য না মেলায় ২২ এপ্রিল বন্ধ করা হয় তল্লাশি অভিযান। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই একইদিনে পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের নিশানা করে জঙ্গিরা। রিপোর্ট পাওয়া সত্ত্বেও কেন কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়নি, সেই নিয়ে মোদিকে তোপ দেগেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছিলেন, “কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা হতে পারে এমন একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তার ভিত্তিতেই নিজের শ্রীনগর সফর বাতিল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তথ্য থাকার সত্ত্বেও কেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হল না?”মোদির এই সফরপর্ব নিয়ে নয়াদিল্লি তরফে এখনও মুখ খোলেনি।
অন্য খবর দেখুন