ওয়েব ডেস্ক: পহেলগাম জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) এক সপ্তাহ পরেও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে হামলাকারীরা। ইতিমধ্যে এই হামলায় পাকিস্তানের (Pakistan) মদত দেওয়ার অভিযোগটি স্পষ্ট হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের প্রতি ভারতের জবাব কী হতে চলেছে, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। টানা দু’দিন ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বাসভবনে একের পর এক উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, সন্ত্রাসবদ দমনে এবার বড় কোনও পদক্ষেপ নিতে পারে দিল্লি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ৭ নম্বর লোককল্যাণ মার্গে শুরু হয় হাই প্রোফাইল বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval), চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহান এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা। এর আগেও সোমবার একই ধরনের বৈঠক হয়েছে। টানা এই বৈঠকগুলি কেন হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দেশের প্রতিটি প্রান্তে।
আরও পড়ুন: গণ্ডারের শিং থেকে ওষুধ তৈরি! ভুলে ভরা NCERT-র পাঠ্যবই?
সূত্রের খবর, বুধবার আরও একটি বড় বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১১টা নাগাদ বসতে চলেছে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটি। সেই বৈঠকে থাকতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা, পর্যটনমন্ত্রী নীতীন গড়করি সহ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পরিকাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ কর্তারা। বৈঠকে ভবিষ্যতের রণকৌশল ও পাকিস্তান নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেই জল্পনা।
এই পরিস্থিতিতে উত্তপ্ত হচ্ছে কাশ্মীরের বাতাবরণ। স্থানীয়দের কথায়, “বারুদের গন্ধ যেন আগে থেকেই টের পাওয়া যাচ্ছে।” সেনাবাহিনীকে কি বড় কোনও অভিযানের জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়েছে? প্রধানমন্ত্রী কি তিন বাহিনীর অবস্থা যাচাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন? রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা মহলে এইসব প্রশ্ন এখন দেশজুড়ে।
দেখুন আরও খবর: