নয়াদিল্লি: এ যেন গভীর ক্ষতে মলম দেওয়া৷ লাগাতার মূল্য বৃদ্ধির মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দিল কেন্দ্র। দীপাবলির ঠিক আগে ‘উপহার’ হিসেবে লিটারপিছু পেট্রোল এবং ডিজেলের আবগারি শুল্ক কমানো হয়েছে। লিটার প্রতি পেট্রোলে পাঁচ টাকা আবগারি শুল্ক কমানো হল। আর ডিজেলের ক্ষেত্রে লিটার প্রতি ১০ টাকা ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামিকাল বৃহস্পতিবার থেকে নতুন দাম ও নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে। পেট্রোল ও ডিজেলের দামের উপরে এক্সাইজ ডিউটি ও অন্যান্য চার্জ যুক্ত করার পর দাম আরও মহার্ঘ হয়। ফলে এই শুল্ক কমলে জ্বালানির দাম অনেকটাই কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ৪ নভেম্বর থেকে নয়া দাম লাগু হবে। তার আগেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ দিপাবলীর উপহার ধরলেও বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না। লাগাতার দাম বাড়িয়ে সেঞ্চুরি পার করে পাঁচ টাকা কমানো হাস্যকর বলে বিরোধীদের দাবি৷
আভাস আগেই পাওয়া যাচ্ছিল৷ কারণ, জ্বালানির দরে জিএসটি বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। সেই সুবাদে তেলের ছ্যাঁকা থেকে কিছুটা হলেও রেহাই মিলতে পারে আমজনতার। তবে, রাজনৈতিক মহলের মতে, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড-সহ পাঁচটি রাজ্য নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। সেই ভোট বৈতরণী পার করতেই তেলের দাম কমাতে উঠে পড়ে লেগেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বাংলা,বিহার সহ বেশ কয়েকটির রাজ্যের উপ নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়াটাকেো অনেকে শুক্ল কমানোর কারণ বলে মনে করছেন৷
গত কয়েক বছরে দফায় দফায় বেড়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। দোসর রান্নার গ্যাস। এই নিয়ে বিরোধী দলগুলো কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেও উপযুক্ত পদক্ষেপ তো দূরের কথা উল্টে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দর ও জ্বালানির ক্ষেত্রে পূর্বসূরী কংগ্রেস সরকারের ফেলে যাওয়া বিশাল ঋণের দোহাই দিয়ে এসেছে বিজেপি। এরই মধ্যে গত জুনে এক জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে জ্বালানিকে জিএসটি-র আওতায় আনার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলকে ভেবে দেখতে বলেছিল কেরল হাই কোর্ট। কিন্তু, তারপরেও কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের বদলে দাম বাড়তে বাড়তে অধিকাংশ রাজ্য লিটার পিছু ১০০ টাকা পেরিয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দর। এবার বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশের দরজায় কড়া নাড়তে নড়েচড়ে বসেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
আরও পড়ুন: ১১ বছর ধরে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে স্কুল, রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, মূল্য কর, সেস, বাড়তি ভ্যাট বা সারচার্জ ও এক্সাইজ ডিউটি ছাড়াও জ্বালানি চাহিদা অপরিশোধিত তেলের দাম পরিবহন খরচ ও ডিলারের কমিশনের নিরিখে দাম নির্ধারণ করে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। সেই সূচকের ভিত্তিতে একেক রাজ্যে একেক দামে বিক্রয় হয় পেট্রোল, ডিজেল।
আরও পড়ুন: বিহারে স্কুল পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট ৯০০ কোটি টাকা, শুরু তদন্ত