নয়াদিল্লি: একটু অসতর্ক হলেই ঘটে যেতে পারে বড় অঘটন। ভেস্তে যেতে পারে আগের সকল প্রয়াস। সেই কারণে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে জনসাধারণকে আগাম সতর্ক করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেই কারণেই উৎসবের মরশুমে জনসাধারণকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে।
প্রায় দুই বছর হতে চলল বিশ্ব জুড়ে দাপট দেখাচ্ছে করোনা। এক বছরের লড়াইয়ে প্রথম ধেউ কিছুটা সামাল দেওয় গেলেও বড় ধাক্কা দিয়েছে দ্বিতীয় ঢেউ। যার বড় প্রভাব পড়েছে ভারতের মাটিতে। সেই রেশ না কাটতেই আবার চোখ রাঙাচ্ছে ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ। আগামী দিনে যাতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বড় প্রভাব ফেলতে না পারে তার জন্য আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে দিল্লি।
আরও পড়ুন- ৬০ শতাংশ পেলেই স্কলারশিপ, কৃতীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ঘোষণা মমতার
বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে করোনা সম্পর্কে আগাম সতর্কতা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। তিনি জানিয়েছেন যে দেশের ৩৯ জেলায় প্রতি সপ্তাহে ১০ শতাংশ করে মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। ৩৮টি জেলায় সেই হার পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ। এই হিসেব গত ৩১ অগস্ট পর্যন্ত। ওই সময়ের মধ্যে সমগ্র ভারতে প্রায় ৩০০ জন ডেল্টা প্লাসের শিকার হয়েছেন।
গত বছর দুর্গাপুজো মণ্ডপে মহিলারা
এই পরিস্থিতি যাতে আরও ভয়ানক আকার না নিতে পারে সেই কারণে আগাম সতর্কতা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। বড় মাপ্র জম্যেত থেকে বিরত থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে অনেক উৎসব রয়েছে। সেই সময়েও যাতে ভিড় না হয় সেই বিষয়েও সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে উৎসবের মরশুমে জনসাধারণকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর।
আরও পড়ুন- সিবিআইয়ের নির্দেশে নন্দীগ্রামে নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে পুলিশি নিরাপত্তা
বড় জমায়েত বা উৎসবের জন্য টিকাকরণ সম্পন্ন করা প্রোয়োজন। যদিও এই কাজ অত্যন্ত দ্রুতগতিতে চলছে বলে জানিয়েছেন রাজেশ ভূষণ। তাঁর দাবি, দেশের ১৬ শতাংশ মানুষের করোনা টিকার দু’টি ডোজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ৫৪ শতাংশ মানুষ প্রথম ডোজ নিয়েছেন। শীঘ্রই শিশুদের টিকাকরণ চালু হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন যে টানা ৯ সপ্তহ ধরে সংক্রমণের হার তিন শতাংশের নিচে রয়েছে। এই ধারা বহায় রাখতে সতর্কতা মেনে চলতে হবে।