কলকাতা টিভি ওয়েবডেস্ক : পেগাসাস কাণ্ডে নয়া মোড়। আগামী সপ্তাহেই পেগাসাস কাণ্ডে জনস্বার্থ মামলার শুনানি হবে বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি এমভি রমনা। পেগাসাস কাণ্ডে নিয়ে তোলপাড় দেশের জাতীয় রাজনীতি। পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে সাংবাদিক, বিরোধী দলের নেতা পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের একাধিক বিচারপতির বিরুদ্ধে নজরদারি চালানোর অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক এন রাম এবং শশী কুমার। তাঁদের দাবি, একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গড়ে এই মামলার তদন্ত করা হোক। মামলাকারী দলের আইনজীবি কপিল সিবলও প্রধান বিচারপতির কাছেও এই আবেদন রাখেন। তারই প্রেক্ষিতে শুক্রবার এই শুনানির কথা ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি এমভি রমনা।
আরও পড়ুন: মেডিক্যালে ওবিসিদের জন্য আসন সংরক্ষণ, ভাওতাবাজি বলে কেন্দ্রকে কটাক্ষ বিরোধীদের
যদিও পেগাসাস কাণ্ডে সমস্ত অভিযোগই ভুয়ো। তাই বিশেষ তদন্তের কোনও দরকার নেই বলেই মোদি সরকারের পক্ষ থেকে জানানও হয়। কিন্তু কেন্দ্রের সেই সমস্ত দাবি উড়িয়ে আগামী সপ্তাহেই শুনানির কথা ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট।
একদিকে বাদল অধিবেশনে পেগাসাস কাণ্ডে কেন্দ্রকে একের পর এক প্রশ্নে কোনঠাসা করছে বিরোধীরা। তখন নজরদারি কাণ্ডে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন, আসলে মোদি সরকারের ওপর অতিরিক্ত চাপ বাড়ানোর কৌশল বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে গ্রেনেড হামলায় জখম দুই জওয়ান-সহ তিন
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে ভারত সরকার। এই ধরনের একটি খবর প্রকাশ করে ব্রিটিশ সংবাদত্র দ্য গার্ডিয়ান। জানা যায়, ৪০ জনেরও বেশি ভারতীয় সাংবাদিকের ফোন হ্যাক করা হয়েছে। অভিযোগ, ওই সমস্ত সাংবাদিকের ফোন হ্যাক করে পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। ফরেনসিক টেস্টে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
প্রকাশিত তথ্যে জানা গিয়েছে, এই তালিকায় সাংবাদিকেরা ছাড়াও রয়েছেন দেশের তিনজন বড় বিরোধী দলের নেতানেত্রী। একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। মোদি ক্যাবিনেটের দু’জন মন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি ছাড়াও রয়েছেন একাধিক শিল্পপতি। এই অভিযোগ সামনে আসতেই তোলপাড় পড়ে যায় দেশের রাজনৈতিকমহলে। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করে বিরোধীরা।
অন্যদিকে এই রিপোর্টের ভিত্তিতে কেন্দ্রকে প্রশ্ন করা হলে তা কার্যত এড়িয়ে যায় মোদি সরকার। ভারতীয় গণতন্ত্রকে কলুষিত করার জন্যই এমন রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সংবাদ মাধ্যমগুলি।” তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক সূত্রে আরও বলা হয়, “ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। দেশের প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার এবং গোপনীয়তা রক্ষায় সরকার দায়বদ্ধ।”