কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে ইডির (Enforcement Directorate) দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়লেন বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan)। সোমবার দিল্লিতে ইডির তদন্তকারী অফিসাররা অমিতাভ বচ্চনের পুত্রবধূকে টানা জেরা করে। সূত্রের খবর, মূলত ফেমা (Foreign Exchange Management Act) আইন লঙ্ঘনের অভিযোগেই তাঁকে ডাকা হয়। এর আগেও ইডি ঐশ্বর্যকে দু’বার তলব করেছিল। দু’বারই তিনি হাজিরা দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছিলেন।
২০১৬ সালে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস- আইসিআইজে যে পানামা পেপার কেলেঙ্কারি ফাঁস করে, তাতে ঐশ্বর্যর নাম রয়েছে। দেশ-বিদেশের বহু প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম রয়েছে ওই কেলেঙ্কারির তালিকায়, যারা কর ফাঁকি দিতে বিদেশে টাকা রেখেছেন বা বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে জড়িত থেকেছেন।
বচ্চন পরিবারের বিরুদ্ধে যে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে, তা বেশ গুরুতর বলেই ইডি সূত্রের খবর। ঐশ্বর্যকে তলব করার অর্থ হল, ইডি বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। বচ্চন পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ২০০৫ সালে তাঁরা ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডের (British Virgin Islands ) অ্যামিক পার্টনারস (Amic Partners Limited) নামে একটি কোম্পানির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে। পরবর্তীকালে পরিবারের অনেক সদস্যই ওই সংস্থার ডিরেক্টর হয়ে যান।
আরও পড়ুন – Omicron Mumbai: ওমিক্রনে ফের লকডাউন পরিস্থিতি, ক্রিসমাস নিয়ে মুম্বইকরদের সতর্ক করল বিএমসি
মোসাক ফনসেকা(Mossack Fonseca) নামে পানামার একটি সংস্থা ওই কেলেঙ্কারিকে ফাঁস করতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস- আইসিআইজে গ্রুপকে সাহায্য করেছিল। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ ব্যাপারে প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করে। সেই তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ঐশ্বর্য, তাঁর বাবা কোটেদারি রমনা রাই কৃষ্ণ রাই মা বৃন্দা কৃষ্ণ রাই এবং ভাই আদিত্য রাই ২০০৫ সালের ১৪মে অ্যামিক পার্টনারসে ডিরেক্টর নিযুক্ত হন। ওই বছরেই ১৮ জুন রাইদের শেয়ার হোল্ডার করা হল বলে প্রস্তাব গ্রহণ করে। পরবর্তীকালে কোনও এক শেয়ার হোল্ডার ঐশ্বর্যর নাম এ রাই বলে উল্লেখ করতে বলে। যুক্তি হিসেবে গোপনীয়তার কথা বলা হয়। ২০০৮ সালে অভিষেক বচ্চনকে ঐশ্বর্য বিয়ে করার পর ওই কোম্পানি উঠিয়ে দেওয়ার পক্রিয়া শুরু হয়।