ওয়েবডেস্ক: একটি প্রিজন ভ্যান। ঘন লোহার জালের ফাঁক দিয়ে বাইরের দিকে চেয়ে এক মহিলা। মনে হতে পারে যেন তিনি বলছেন, কভি আলিদা না কহে না। আসলে আশ্রয় চাইছেন। নাম মিনাল খান (Minal Khan)। তাঁকে স্বামীর ঘর ছাড়তে বলা হয়েছে। পহেলগাম হামলার (Pahalgam Attack) জেরে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে। কারণ মিনাল পাকিস্তানের (Pakistan) পাঞ্জাবের বাসিন্দা। স্বামী মুনির খান এক সিআরপিএফ জওয়ান (CRPF Jawan)। সোশ্যাল সাইটে প্রেম থেকে পরিণয়। অবশেষ আদালতের হস্তক্ষেপে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন তিনি। এমনটাই দাবি তাঁর আইনজীবীর। ছবিটা জম্মু থেকে আটারী ওয়াঘা সীমান্তে যাওয়ার সময়।
২২ মার্চ স্বল্প মেয়াদের ভিসার মেয়াদ ফুরিয়েছে মিনালের। গত বছরের মে মাসে তাঁদের ‘অনলাইনে বিয়ে’ হয়। ভিসা বাতিল হওয়া সব পাকিস্তানি নাগরিকদের ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভারত ছাড়তে বলা হয়। পরে অবশ্য মেয়াদ বাড়ানো হয়। পাকিস্তান যাওয়ার জন্য বাসেও উঠে পড়েছিলেন মিনাল। শেষমেষ তাঁর আইনজীবী অঙ্কুর শর্মা তাঁকে বলেন স্থগিতাদেশ পেয়েছি। মিনাল জানিয়েছেন, আমরা সব নিয়ম মেনেছি। মার্চ মাসে স্বল্প মেয়াদের ভি্সার মেয়াদ ফুরনোর পর আমরা দীর্ঘ মেয়াদের ভিসার জন্য আবেদন করেছি। পহেলগাম হামলার পর আমি স্বামীর থেকে আলাদা হয়ে গেলাম। আমরা বিচার চাইছি।
আরও পড়ুন: পহেলগাম হামলাকারীরা দক্ষিণ কাশ্মীরে লুকিয়ে?
সীমান্ত পারের প্রেম নিয়ে বীরজারার মতো সুপারহিট সিনেমা হয়েছে। এও দুই সীমান্ত পারের প্রেমের গল্প। তবে প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে ২২ মার্চের পরও মিনাল ভারতে থেকে গেলেন? পাকিস্তানের একজন মহিলাকে জম্মু ও কাশ্মীরে কর্মরত সিআরপিএফ জওয়ানের বিয়ে করা উদ্বেগের বিষয় বলেই অনেকে মনে করছেন। আবার অনলাইন বিয়ে বিষয়টিও নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। হানি ট্র্যাপের মতো ম্যারেজ ট্র্যাপ নয় তো?
দেখুন অন্য খবর: