ওয়েব ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে (India-Pakistan Border) নতুন করে উত্তেজনার আবহে সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের একটি গুরুত্বপূর্ণ রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সারির এক সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, বৈঠকে সদস্য রাষ্ট্রগুলির তরফে একাধিক কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় পাকিস্তানকে। মূলত পহেলগামের সম্প্রতি ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলাকে ঘিরেই এই উত্তেজনার সূত্রপাত। ভারতের অভিযোগ, এই হামলার সঙ্গে পাকিস্তান ঘেঁষা জঙ্গি সংগঠন লশকর-এ-তোইবার যোগ রয়েছে। প্রথমে ‘দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF) এই হামলার দায় স্বীকার করলেও পরে নিজেদের বক্তব্য থেকে সরে আসে তারা। এই দ্বৈত অবস্থান নিয়েই উঠে আসে একাধিক প্রশ্ন।
পাকিস্তান যদিও বরাবরই দাবি করে এসেছে, পহেলগাম হামলার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই এবং তারা এই ধরনের জঙ্গি কার্যকলাপের নিন্দা করে। কিন্তু রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে লশকর-এ-তোইবা ও TRF-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বেশ কিছু দেশের কূটনৈতিক পাকিস্তানের অবস্থান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। বিশেষত, যখন হামলার শিকার হয়েছেন নিরীহ পর্যটকরা, তখন তার নিন্দায় একমত হন অধিকাংশ প্রতিনিধি।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে মকড্রিল আগামীকাল, সাইরেন বাজলেই সতর্ক হন
এদিকে, বৈঠকে উঠে আসে আরেকটি উদ্বেগের বিষয়—পাকিস্তানের একাংশের ‘পরমাণু শক্তি’র প্রসঙ্গ টেনে অহেতুক উস্কানিমূলক মন্তব্য এবং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সিদ্ধান্ত। এই ধরণের অবস্থান যে দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে, সেই আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন নিরাপত্তা পরিষদের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি। তাঁরা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই এই উত্তেজনা প্রশমন করার পরামর্শ দেন পাকিস্তানকে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান বর্তমানে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য। প্রতিবেশী ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে তৈরি হওয়া এই উত্তেজনার প্রেক্ষিতে রুদ্ধদ্বার আলোচনার জন্য তারাই প্রথম প্রস্তাব দেয়। সোমবার প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা এই আলোচনার শেষে কোনও সরকারি বিবৃতি না এলেও, অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রগুলির দূতেরা আলাদাভাবে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
সাম্প্রতিক এই কূটনৈতিক পরিস্থিতি ঘিরে আগামী দিনে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব।
দেখুন আরও খবর: