ওয়েব ডেস্ক: পহেলগাম ইস্যুতে চারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে (India-Pakistan Relation) চিড় ধরেছে। ইতিমধ্যে দুই দেশে একটা দ্বন্দের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বরাবর গুরুত্ব পায় দুই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার (Forex Reserve)। বর্তমানে সেদিকে নজর দিলে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের তফাৎটা স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। এখন যেখানে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার ৬৮ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি, সেখানে পাকিস্তানের সমচয় মাত্র ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের কিছু বেশি।
দুই পৃথক দেশের জন্মলগ্ন অর্থাৎ, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের সময়, ভারত এবং পাকিস্তান- দুই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার (India Forex Reserve) ছিল অত্যন্ত সীমিত। ব্রিটিশ শাসনের অর্থনৈতিক শোষণ ও শিল্পোন্নয়নের অভাবই ছিল এর মূল কারণ। ভারতের ক্ষেত্রে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অনেকটাই কম ছিল। তবে তৎকালীন কেন্দ্র সরকারের নেওয়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে।
আরও পড়ুন: পোপ হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প! নেট দুনিয়ায় শুরু জল্পনা, সত্যিটা কী?
২০০০ সালের পর তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন, রফতানি বৃদ্ধি, প্রবাসী ভারতীয়দের এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বেশ কিছু নীতির ফলে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০০৮ সালের মধ্যেই ভারতের রিজার্ভ ৩০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। ২০০৮ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং কোভিড-১৯ মহামারির মতো ধাক্কা সামলেও ভারত এই ভাণ্ডারের ভারসাম্য বজায় রেখেছে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারের (Pakistan Forex Reserve) কথা বললে ১৯৬০-এর দশকে শিল্পোন্নয়নে প্রাথমিক সাফল্য সত্ত্বেও, ঘন ঘন রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামরিক শাসন এবং অসংলগ্ন অর্থনৈতিক নীতি এর দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে। দিন দিন পাকিস্তান বিদেশি সহায়তার উপর বেশিই নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। এর ফলে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারকে সাময়িক সামালানো গেলেও রফতানি বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের বিকল্প তৈরি না হওয়ার কারণে তা উন্নত হয়নি। এর মাঝে আবার ২০২৩ সালে চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে পাকিস্তান। সেই সময় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার ৪০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে আসে। এখন তাতে কিছুটা উন্নতি হলেও তা যে কতটা কম, তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে পাক সরকার।
দেখুন আরও খবর: