ওয়েব ডেস্ক: পহেলগাময়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে গোটা দেশ। এই হামলার নেপথ্যে পাকিস্তানের মদত। ঘটনার পরই যোগ্য জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারত সরকার। সিন্ধু জলচুক্তি আপাতত বাতিল করে নয়াদিল্লি। সিন্ধু চুক্তি বাতিল হতেই বন্যায় ভাসছে পাকিস্তান (PoK Flood Alert)। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থাও। ঘরছাড়া পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কয়েক শো পাকিস্তানি। পাকিস্তানের অভিযোগ, না জানিয়েই উরি বাঁধ থেকে বিতস্তা নদীর জল ছেড়েছে ভারত। এই পরিস্থিতিকে ‘জল সন্ত্রাস’ বলেও দাবি করছে তারা। এতদিন সিন্ধু জল চুক্তি অনুযায়ী ভারত-পাক দুই দেশের মধ্য়ে বোঝাপড়া কায়েম ছিল। কিন্তু পহেলগাঁও হামলায় পাকিস্তান সংযোগ ধরা পড়ার পর পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে।
অনন্তনাগের ভেরিনাগ এলাকা থেকে ঝিলম বা বিতস্তা নদী বয়ে গিয়েছে জম্মু কাশ্মীরের উপর দিয়ে। সীমানা পার করে তা পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে। স্থানীয় সংবাদ সংস্থায় দাবি করা হয়েছে, শনিবার রাত থেকেই আচমকা জল বাড়ছে বিতস্তায়, বন্যা পরিস্থিতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। ঝিলমের জল ছাড়ার (India Jhelum Water Releas) ফলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরাবাদে বন্যা দেখা দিয়েছে। জলছাড়ার ফলে আচমকাই ঝিলমের জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। হাট্টিয়ান বালাতে জল নিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। মুজাফ্ফরাবাদ, চাকোটিতে বহু মানুষ ঘরছাড়া। নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। মসজিদ থেকেও ঘোষণা করে সতর্ক করা হয়েছে স্থানীয়দের। ঝিলমের পাড়ে অবস্থিত মুজফ্ফরাবাদ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরত্ব হাট্টিয়ান বালার। বন্যা সতর্কতা ঘিরে সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলে খবর। বলা হচ্ছে, কাশ্মীরের অনন্তনাগ থেকে জল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের চাকোঠিতে জলের স্তর বেড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: পহেলগাম জঙ্গি হামলার তদন্তে এবার NIA
১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত ভারত-পাক সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি। এই চুক্তির অন্তর্ভুক্ত নদীগুলি ভারতের দিক থেকেই পাকিস্তানে প্রবাহিত। চুক্তি অনুসারে, ভারতের নিয়ন্ত্রণে সিন্ধুর পূর্বের তিন উপনদী— বিপাশা, শতদ্রু এবং ইরাবতীর জল। এছাড়া সিন্ধু ও তার দুই উপনদী বিতস্তা, চন্দ্রভাগার জলের উপর পাকিস্তানের অধিকার। এর মাঝেই বন্যায় ভাসল পাকিস্তান। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নদীর পাড়ে যে সব মানুষ বসবাস করেন তাঁদের আগে থেকে কিছু বলা হয়নি। এগিয়ে দ্রুত গতিতে জল ধেয়ে আসছে। তাতে সম্পত্তিহানির ভয় পাচ্ছেন স্থানীয়রা। ভারতের তরফে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
অন্য খবর দেখুন