ওয়েব ডেস্ক: একসময় পাকিস্তানের (Pakistan) মেয়ে থাকলেও এখন ভারতের (India) ঘরনি তিনি। তাঁর বিয়ে নিয়ে একটা সময় ব্যপক জলঘোলা হয়েছিল। কিন্তু পহেলগাঁও কাণ্ডের (Pahalgam Terror Attack) পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক ঠেকেছে তলানিতে। এই পরিস্থিতিতেও ভারতেই থাকতে চান সীমা হায়দার (Seema Haider)। ভারত সরকার পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই উদ্বিগ্ন সীমা একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) কাছে আবেদন জানিয়েছেন যাতে তাঁকে ভারতে থাকতে দেওয়া হয়।
ভিডিও বার্তায় সীমা বলেন, ‘‘আমি আর পাকিস্তানে ফিরতে চাই না। আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিজি ও মুখ্যমন্ত্রী যোগীজিকে অনুরোধ করছি, আমাকে ভারতে থাকার অনুমতি দেওয়া হোক।’’ সীমা আরও জানিয়েছেন, সচিনের সঙ্গে বিবাহের পর তিনি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তাঁদের এক কন্যাসন্তানও হয়েছে, নাম ভারতী মিনা। সীমার আইনজীবী এপি সিংহের দাবি, সীমা এখন পাকিস্তানের নাগরিক নন। বিবাহসূত্রে তিনি ভারতের নাগরিকত্বের দাবিদার।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে কাশ্মীরে গুলিবর্ষণ পাকিস্তানের
২০২৩ সালের মে মাসে সীমা চার সন্তানকে নিয়ে পাকিস্তানের করাচি ছেড়েছিলেন। নেপাল হয়ে বেআইনি পথে ভারতে প্রবেশের অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। জুলাই মাসে উত্তরপ্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগরের রাবুপুরায় সচিনের সঙ্গে থাকাকালীন তাঁকে আটক করেছিল পুলিশ। তবে বর্তমানে স্বামী সচিন মিনার এবং সন্তানদের সঙ্গে গ্রেটার নয়ডায় বসবাস করছেন সীমা। আর সেখানেই বাকি জীবনটা কাটাতে চান তিনি।
উল্লেখ্য, ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ২৭ এপ্রিল থেকে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল বলে গণ্য হবে। কেবল চিকিৎসা-ভিসা পাওয়া পাকিস্তানিদের ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে ভারতে বসবাসকারী পাকিস্তানি হিন্দুদের ভিসা অবশ্য বাতিল করা হচ্ছে না।
দেখুন আরও খবর: