ওয়েবডেস্ক: একবার নয়। শুধু ১০ মে নয়। অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) আতঙ্কিত হয়ে পাকিস্তান (Pakistan) সেদিনই সংঘর্ষ বিরতির (Ceasefire) আবেদন করে ভারতের (India) কাছে। তাতে কান দেয়নি ভারত। ভারতের প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানে মৃত্যু হয়েছে ১৬০ জনের। সেদিনও পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনসের কাছে থেকে মেসেজ এসেছিল। একটি সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। অথচ পাকিস্তান ভুয়ো অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। কখনও চীনের মহড়া দেখিয়ে নিজেদের বলে দাবি করছে। সম্প্রতি আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে, পাকিস্তান গণ হত্যার চেষ্টা ঘটাতে সচেষ্ট হতে পারে। জৈব অস্ত্র প্রয়োগ করবে? সন্ত্রাসবাদীদের আঁতুড়ঘর পাকিস্তানকে নিয়ে সতর্ক আন্তর্জাতিক মহলের অনেকেই। তারই মধ্যে পাকিস্তানের সংঘর্ষ বিরতি চেয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার এই রিপোর্ট সামনে এল।
আগে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানে ভারতীয় বায়ুসেনার আঘাতের পরে পাকিস্তানের তরফে সংঘর্ষ বিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়। দুদেশের ডিজিএমও আলোচনা করে। উল্লেখ্য, ভারতের প্রত্যাঘাতে বাহওয়ালপুরে ২০ জনের বেশি সংখ্যায় মৃত্যু হয়েছে। বাহওয়ালপুরে যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা বেশিরভাগই জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের আত্মীয়। পাকিস্তানের ৪০ জন সেনা প্রাণ হারিয়েছে। পাকিস্তান তা স্বীকার করেনি। তারা জানিয়েছিল, ১১ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে। ৭৮ জন জখম হয়েছে। অপারেশন সিন্দুরে ভারত-পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা ৯টি জঙ্গিঘাঁটি উড়িয়ে দেয়। এরপর পাকিস্তান ড্রোন ও মিসাইল হামলা করে। ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সুদর্শন চক্রেই তা ধ্বংস হয়ে যায়। তবে এরপর পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন সাধারণ মানুষকে আক্রমণ করতে থাকে। তারপরই পাক এয়ারবেসে প্রত্যাঘাত করে ভারত। ১০ মে সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণার আগে পর্যন্ত পাকিস্তানের এয়ারবেসে ও বিভিন্ন হামলায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের নিরাপত্তায় বড় পদক্ষেপ, তিন বাহিনী চলবে একত্রে