ওয়েব ডেস্ক: বিজেপি (BJP) শাসিত রাজ্যের স্কুলেও লেগে গেল দুর্নীতির রং। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) শহডোল জেলার ব্যোহারি বিধানসভা এলাকার দুটি সরকারি বিদ্যালয় রং করার বিল দেখলে আপনারও চোখ উঠবে কপালে। মাত্র কয়েক লিটার রঙের কাজ করতে লাগল শত শত শ্রমিক ও মিস্ত্রি এবং তাঁদের মজুরি বাবদ লক্ষাধিক টাকা দেখানো হল বিলে। আর এভাবেই দুর্নীতি (Scam) করে লুঠ হল সরকারি কোষাগার। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিলের ছবি ছড়িয়ে পড়তেই ফাঁস হল এই কেলেঙ্কারি।
সূত্রের খবর, শহডোল জেলার শাসকীয় হাইস্কুলে ৪ লিটার অয়েল পেইন্ট দিয়ে স্কুলের দেওয়াল রং করার জন্য জন্য নিয়োগ করা হয় ১৬৮ জন শ্রমিক এবং ৬৫ জন রাজমিস্ত্রিকে। এই কাজের জন্য ব্যয় দেখানো হয়েছে ১,০৬,৯৮৪ টাকা। এই বিল স্বাক্ষর করেছেন জেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা আধিকারিক ফুল সিং মারপাচি।
আরও পড়ুন: বোরখা পরায় বাইক থেকে নামিয়ে হুমকি মহিলাকে, যোগীরাজ্যে এ কী কাণ্ড!
অন্যদিকে, নিপানিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও দুর্নীতির একই ছবি ধরা পড়েছে। এখানে বলা হয়েছে ২০ লিটার অয়েল পেইন্ট দিয়ে রঙ করা হয়েছে, বসানো হয়েছে ১০টি জানলা ও ৪টি দরজা। সেই কাজের জন্য নাকি নিযুক্ত ছিলেন ২৭৫ শ্রমিক ও ১৫০ রাজমিস্ত্রি। এক্ষেত্রে খরচ দেখানো হয়েছে ২,৩১,৬৮৫ টাকা। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, এই দুই গ্রামের মোট জনসংখ্যা অনুযায়ী এত শ্রমিক ও রাজমিস্ত্রির অস্তিত্বই নেই। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, কাগজে-কলমে এত মানুষকে নিয়োগ দেখানো সম্ভবই বা কীভাবে?
এখানেই শেষ নয়, এই একজোড়া বিলে আরও একটি বড় অসঙ্গতি রয়েছে। নিপানিয়া স্কুলের প্রিন্সিপাল যেখানে ৪ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে বিলটিতে সই করেছেন, সেখানে ‘সুধাকর কনস্ট্রাকশন’ নামে নির্মাতা কোম্পানি সেই বিল তৈরি করেছে ৫ মে ২০২৫। অর্থাৎ বিল তৈরির এক মাস আগেই তাতে সই হয়ে গিয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, সংরক্ষণ তহবিল থেকে যে কোনও কাজের আগে ও পরে ছবি তুলে বিলের সঙ্গে জমা দিতে হয়। কিন্তু এই দুই ক্ষেত্রেই কোনও ছবি জমা দেওয়া হয়নি। তবুও, জেলার ট্রেজারি অফিসার কোনো রকম যাচাই না করেই বিল পাস করে টাকা মঞ্জুর করে দিয়েছেন।
দেখুন আরও খবর: