নয়াদিল্লি: পহেলগাম হামলায় (Pahalgam Attack) পাকিস্তানের সেনা ও পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের যোগ স্পষ্ট। সূত্রের খবর, ২২ এপ্রিল পহেলগামে জঙ্গি হামলার মধ্যে দু’জন পাকিস্তানি ছিল তা আগেই জানিয়েছিল তদন্তকারীরা। তাঁদের মধ্যে একজনের পরিচয় প্রকাশ্যে এল। হাশিম মুসা নামের পাকিস্তানি জঙ্গিই হল পহেলগাঁও হামলার মূল চক্রী। হাশিম পাক সেনার প্রাক্তন কম্যান্ডো (Hashim Musa EX Pakistan Para Commando Soldier)। সেখান থেকে যোগ দেয় লস্কর-ই-তইবায়। গত অক্টোবর থেকে ভারতে মোট ৩টি হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে এই হাশিমের বিরুদ্ধে।
পহেলগাম হামলার তদন্তের বার নিয়েছে এনআইএ। জানা গিয়েছে, পাক সেনার স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল এই হাশিমের। পাকিস্তানের এসএসজি খুবই উচ্চ সামরিক প্রশিক্ষিত প্যারা কমান্ডো। এরা যে কোনও পরিস্থিতি, আবহাওয়ায় কাজ করতে পারে। আক্রমণের কৌশল খুব ভালোভাবে শেখানো হয় এই এসএসজি সদস্যদের। উন্নত প্রযুক্তি যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহারের সঙ্গে অস্ত্র ছাড়া লড়াইয়েরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কঠিন পরিস্থিতিতে কীভাবে বেঁচে থাকতে হবে, সেই সব প্রশিক্ষণ মেলে পাক সেনার এই বিশেষ কমান্ডো বাহিনীতে। সূত্রের খবর, পাক সেনাবাহিনী মুসাকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করে। নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বাতে যোগ দেয় হাশিম। বিশেষজ্ঞদের মতে ২০২৩ সালের ভারতে অনুপ্রবেশ করে হাশিম। কাশ্মীরের বুদগাম জেলায় ছিল হাশিমের আস্তানা। মুসার পাক সেনা যোগের কথা জানা গিয়েছে, ধৃত ১৫ কাশ্মীরি জঙ্গি মদতদাতাদের জেরা করে।
আরও পড়ুন:কাশ্মীর আবহে, পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত ১৭ জন জঙ্গি
জানা গিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনী এবং কাশ্মীরি নন এমন ব্যক্তিদের উপর হামলা চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। গত বছরে বারামুলা-সহ কাশ্মীরের দুই জায়গায় হামলার নেপথ্যেও ছিল এই কট্টরপন্থী পাক জঙ্গি। কোন পথে, কী ভাবে হামলা চালানো হবে তার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছিল এই মুসাই। তদন্তকারীদের সন্দেহ পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জঙ্গিদের সব রকমের সাহায্য করেছিল এই কাশ্মীরি ওভার গ্রাউন্ড ওয়াকার্সরাই। এমনকি কোথায় সন্ত্রাস হবে তাও চিহ্নিত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে এঁরা। নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সূত্রে খবর, পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং আইএসআই-এর ভূমিকাও এখন স্পষ্ট। ২০২৪ সালে সংঘটিত তিনটি হামলায়ও মুসা জড়িত ছিল।
অন্য খবর দেখুন