নয়াদিল্লি: চলতি সপ্তাহে শেষ হচ্ছে বাদল অধিবেশন৷ তার আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল আজ সোমবার সংসদে পেশ করল কেন্দ্র৷ এর আগে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তাড়াহুড়ো করে বিল পাশ করানোর অভিযোগ এনেছে বিরোধীরা৷ তবে এই বিলটির ক্ষেত্রে সুর নরম করেছে সব বিরোধী দল৷ বরং বিলটিকে সমর্থন জানানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা৷
বিলটির নাম ওবিসি বিল৷ যেটি গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন পায়৷ বিলটিতে অনগ্রসর শ্রেণির তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির হাতে বাড়তি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে৷ গত মে মাসে রাজ্যগুলির হাত থেকে এই অধিকার কেড়ে নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ বিলটি সংসদের বাদল অধিবেশনের উভয় কক্ষে পেশ করা হবে৷ আলোচনার পর ভোটাভুটি হবে৷ বিরোধীরা বিলটিকে সমর্থন করবেন বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল৷ তাই ধরেই নেওয়া হয়, বিনা বাধায় সহজেই বিলটি পাশ করিয়ে নিতে পারবে সরকার৷ হলও ঠিক তাই৷
আরও পড়ুন:ধানবাদে বিচারপতির রহস্যমৃত্যু, সিবিআইয়ের কাছে ৭ দিন অন্তর রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে বিলটিকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেন বিরোধীরা৷ আজ সকালে অধিবেশন শুরুর আগে ১৫টি অবিজেপি দলের নেতারা বৈঠক করেন৷ তার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রবীণ কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খারগে বলেন, ‘দেশ ও অনগ্রসর সমাজের কল্যাণে সব বিরোধী দল বিলটিকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷’ ভোটাভুটির আগে বিলটির উপর আলোচনা চেয়েছেন তাঁরা৷ তবে মল্লিকার্জুন খারগে পষ্টাপষ্টি জানিয়ে দেন, শুধুমাত্র এই বিলের ক্ষেত্রেই সরকারকে সহযোগিতা করা হবে৷ বাকি ইস্যুতে বিরোধিতা যেমন চলছিল তেমনই চলবে৷
গত ৫ মে মরাঠা সংরক্ষণ নিয়ে মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, কোনও রাজ্যই সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে অনগ্রসর শ্রেণির নাগরিকদের তালিকা তৈরি করতে পারবে না৷ রাজ্য সরকার অনগ্রসর শ্রেণিকে চিহ্নিত করে কেন্দ্রকে এ ব্যাপারে জানাতে পারবে৷ তাদের স্বীকৃতি দেওয়া বা সংরক্ষণের আওতায় ফেলার সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র৷
আরও পড়ুন: ইতিহাস গড়ে প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন মোদি
শীর্ষ আদালতের সেই রায়কে খারিজ করে রাজ্যের হাতে পুনরায় অনগ্রসর শ্রেণির মানুষের তালিকা তৈরির অধিকার তুলে দিচ্ছে কেন্দ্র৷ সেই জন্য বিলটির পক্ষে এগিয়ে এসেছে বিরোধীরা৷ যদিও বিলটির বিপক্ষে অনেক আলোচনা উঠে আসছে৷ বিলটির বিরুদ্ধে বলা হচ্ছে, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে পাকাপাকি বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছে৷ এই বিলের ফলে কোন আদিবাসী জনগোষ্ঠী কোন পর্যায় ভুক্ত হবে তা কীভাবে ঠিক হবে তা বলা নেই৷ দ্বিতীয় যে কারণ উঠে আসছে, আদিবাসীদের এভাবে পর্যায় ভুক্ত করে ফেলতে পারলে জমি দখলের জন্য উচ্ছেদ করার বিরাট সুযোগ চলে আসবে৷ আইনি ঝামেলার সুযোগ থাকবে না৷ বনজ সম্পদ ও সে জমি বাস্তু দেখিয়ে সরকার দখল নেবে৷