ওয়েব ডেস্ক: পহেলগাম হামলার ১৫ দিন পর মঙ্গলবার মধ্যরাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’(Operation Sindoor)। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলির একাধিক ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারতীয় সেনা। ২৫ মিনিটে জঙ্গিদের আস্তানা ধুয়ে মুছে সাফ ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর স্ট্রাইকে। অপারেশন সিঁদুরের পর কেন্দ্রীয় সরকারের বৈঠকেই নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করতে হাজির করা হল দুই মহিলা অফিসার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি (Indian Army Colonel Sophiya Qureshi) এবং উইং কম্যান্ডার ব্যোমিকা সিং (Wing Commander Vyomika Singh)। জঙ্গি হামলার উপযুক্ত জবাব কী ভাবে ভারত দিয়েছে তার বিস্তারিত জানালেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। এর আগে কোনও অভিযান সম্পর্কে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কোনও মহিলা অফিসারদের দিয়ে প্রেস ব্রিফিং করানো হয়েছে বলে মনে করতে পারছেন না অনেকেই। অপারেশন সিঁদুরের পর গোটা দেশ গর্বিত কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে নিয়ে।
বুধবার নিউদিল্লিতে অপারেশন সিঁদুরের মিডিয়া ব্রিফিং। সেখানে ছিলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি, উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং ও কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। রক্তের আগে দেশ মা, এটা প্রমাণ করলেন সোফিয়ার। সূত্রের খবর, অপারেশন সিঁদুর-মতো এত বড় ঐতিহাসিক অভিযানে তাঁরও যে ভূমিকা রয়েছে তা পরিবার ও প্রিয়জনদের টের পেতে দেননি কর্নেল কুরেশি। তাঁর কাজে উচ্ছ্বসিত সোফিয়ার ভাইবোনেরাও। সাংবাদিক সম্মেলন টিভিতে দেখেই সোফিয়ার যমজ বোন জানতে পারেন অপারেশন সিঁদুর-এ কর্নেল কুরেশির অবদানের কথা। তিনি বলেন, ‘আগের দিনই ওঁর সঙ্গে কথা হল। তখন বুঝতেই দেয়নি পরের দিন সকালে কী হতে চলেছে। মেয়ের এমন সাফল্যে গর্বে বুক ফুলে উঠেছে তাঁর পরিবারের। সোফিয়ার মা হালিমা বলেন, ‘মেয়ে দেশের জন্য যা করেছে আমরা তাতে দারুণ খুশি। এটা দেখে দেশের বাকি মেয়ের বাবা-মায়েরাও অনুপ্রাণিত হবেন। মেয়েদের এমন শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন, তাঁরা যাতে দেশের সেবা করতে পারেন।কর্নেল কুরেশির বাবা প্রাক্তন আর্মি ম্যান তাজ মহম্মদ কুরেশির কথায়, ‘দেশের জন্য ও কিছু করেছে। এটাই আমার কাছে দারুণ গর্বের। তাজ মোহাম্মদের মতে, ‘’পাকিস্তানকে ধ্বংস করা উচিত। আমরা প্রথমে ভারতীয়, তারপর অন্য কিছু। সুযোগ পেলে আজও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিতাম।’
আরও পড়ুন:শেষ সর্বদলীয় বৈঠক, কী সিদ্ধান্ত হল? দেখুন বিগ আপডেট
অন্য খবর দেখুন