ওয়েব ডেস্ক: ভোরের ফজর থেকে রাতের ইশা- সারা দিনের পাঁচটি সময় পড়া হয় নামাজ। চিরাচরিত এই রীতি মেনে আজও আজানের সুরে গলা মেলান ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা (Muslim)। কিন্তু সম্প্রতি বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court) জানায় যে, প্রার্থনার ক্ষেত্রে লাউডস্পিকারের ব্যবহার আবশ্যিক ধর্মীয় আচারের মধ্যে পড়ে না। এক্ষেত্রে শব্দদূষণ আইন প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয় মুম্বই পুলিশকে। তারপরেই খুলে নেওয়া হয় মুম্বইয়ের বেশ কয়েকটি মসজিদের লাউডস্পিকার। এই আবহে এবার লঞ্চ হল ‘অনলাইন আজান অ্যাপ’ (Online Azaan App)।
শুরুর ফজর থেকে শেষের ইশা- সারাদিনে পাঁচবার লাইভ আজান শোনা যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে। এতে আদালতের নির্দেশও বহাল থাকবে, একইসঙ্গে অনলাইন মাধ্যমে আজানের সুরও পৌঁছে যাবে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কানে। বর্তমানে মুম্বইয়ের অন্তত ছ’টি মসজিদের মুসকিল আসান করেছে এই অনলাইন আজান অ্যাপ।
আরও পড়ুন: টাকে চুল গজানোর ভুয়ো প্রতিশ্রুতি, ক্লিনিকের ৬.৩ লক্ষ টাকা জরিমানা
মসজিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি পুলিশ এসে সতর্ক করে যে মাইকে আজান দিলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। এর ফলে মসজিদের সাউন্ড সিস্টেম আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ৪৫-৫৬ ডেসিবেলের আওয়াজ অনুমোদিত, কিন্তু তাতে আজানের কার্যকারিতা নষ্ট হচ্ছে বলেই মত ট্রাস্টের। তাই এই অ্যাপ একটি কার্যকর বিকল্প বলে মনে করছেন তাঁরা।
মহিম জুমা মসজিদের ম্যানেজিং ট্রাস্টি ফাহাদ খালিল পাঠান সংবাদমাধ্যমকে জানান, “পুলিশি হস্তক্ষেপের পরেই আমরা অ্যাপের কথা ভাবি। এটি আইন লঙ্ঘন ছাড়াই আজান সম্প্রচারের এক আধুনিক মাধ্যম।” আগামী দিনে বিশ্বজুড়ে আজানের সুর পৌঁছে দেওয়াই আসল লক্ষ্য, এমনটাই জানিয়েছেন অ্যাপ নির্মাতারা।
দেখুন আরও খবর: