নয়াদিল্লি: ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের (India Omicron cases) সংখ্যা মঙ্গলবার ৬৫০ ছাড়িয়ে গেল। শীর্ষে মহারাষ্ট্র, তার পরেই রয়েছে দিল্লি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের এদিন সকালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ওমিক্রন আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ৬৫৩। এর মধ্যে শুধু মহারাষ্ট্রেই আক্রান্ত ১৬৭ জন, দিল্লিতে আরও ১৬৫ জন।
ডেলটার থেকে তিন গুণ বেশি সংক্রামক করোনাভাইরাসের এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট অন্যান্য রাজ্যেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। কেরালায় ওমিক্রন আক্রান্ত ৫৭ জনের হদিশ মিলেছে। তেলাঙ্গানায় আক্রান্ত ৫৫ জন। গুজরাতে ৪৯, রাজস্থানে ৪৬, তামিলনাড়ুতে ৩৪ ও কর্নাটকে ৩১ জন ওমিক্রন আক্রান্ত।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬,৩৫৮টি কোভিড পজিটিভ কেস ধরা পড়ে। মৃত্যু হয়েছে ২৯৩ জনের। দেশে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ৩ কোটি ৪৮ লক্ষ। সবমিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার ২৯০ জনের।
ভারতে এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫,৪৫৬। মোট সংক্রমণের নিরিখে অ্যাক্টিভ কেসের হার ১ শতাংশের নীচে রয়েছে, ০.২২ শতাংশ।
কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬,৪৫০ জন। মোট সুস্থ ৩ কোটি ৪২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯৪৫ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৪০ শতাংশ। ২০২০ সালের মার্চের পর থেকে এটাই সর্বোচ্চ সুস্থতার হার। বিগত ৮৫ দিন ধরে দৈনিক পজিটিভিটির হার ০.৬১ শতাংশ।
দিল্লিতে ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়তে থাকায় উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সোমবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজন পড়লে ফের কড়া কোভিড বিধিনিষেধ জারি হতে পারে।
বর্ষশেষের উত্সবকে কেন্দ্র করে গোটা দেশে ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। রাজ্যগুলিকে সতর্কও করা হয়েছে। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক-সহ একাধিক রাজ্যে বর্ষশেষের উত্সব বাতিল করে, নাইট কারফিউ জারি হয়েছে। তার পরেও কতটা সংক্রমণ ঠেকানো যাবে, তা নিয়ে কিন্তু উদ্বেগ থাকছেই। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ফেব্রুয়ারিতেই পিকে উঠবে ওমিক্রন সংক্রমণ। সতর্ক করা হয়েছে, দৈনিক দেড় থেকে দু’লক্ষ সংক্রমণ হতে পারে। স্বভাবতই রাজ্যগুলিকে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।