ওয়েব ডেস্ক: কথাতেই আছে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু। সদ্য উড়ান দুর্ঘটনা ঘটেছে আহমেদাবাদে। আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচেছেন বিমানের এক যাত্রী। তিনি ছিলেন সিট নং—১১A তে, ইমারজেন্সি এক্সিটের একদম পাশে। আর তারপর থেকেই ১১A সিটের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলোতে ক্রমাগত আসছে ফোন। সকলের একটাই প্রশ্ন ১১A সিটটা কি ফাঁকা আছে?
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি আহমেদাবাদের (Ahmedabad Plane Crash) মেঘানি নগর এলাকায় বিমানবন্দরের কাছেই একটি চিকিৎসকদের হোস্টেলের ওপর ভেঙে পড়ে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরপরই একযোগে উদ্ধার কাজে নামে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। বিমানটি বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে টেক অফ করেছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানবন্দরের কাছাকাছি এলাকায় সেটি ভেঙে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় কপালজোড়ে একজন যাত্রী প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন : ‘AI-171’, এই নাম্বার আর কোনওদিন ব্যবহার হবে না AIR INDIA-র বিমানে
জানা গিয়েছে, এই সিটগুলো মূলত অতিরিক্ত লেগ স্পেসের জন্য আগেই একটু বেশি দামে বিক্রি হয়। কিন্তু এতদিন যাত্রীরা এই সিট নিতে আগ্রহ দেখাতেন না, কারণ বেশিরভাগ সিট রিক্লাইন হয় না, আবার জরুরি দরজা খোলার ব্রিফিংও শুনতে হয়। কিন্তু এই ঘটনার পর এখন পরিস্থিতি বদলেছে। শুধুমাত্র মনের শান্তির জন্যই অনেকেই এই আসন বেছে নিতে চাইছেন।
ট্র্যাভেল এজেন্ট ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার ন্যাশনাল কমিটির সদস্য অনিল পাঞ্জাবি জানিয়েছেন, ‘ইমার্জেন্সি এক্সিটের পাশে বসার জন্য যাত্রীদের মধ্যে আগ্রহ বহু গুণ বেড়েছে। এমনকি কেউ কেউ ১১এ চাইছেন, সেটা দরজার পাশে হোক বা না হোক।
তবে বিমান বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন ঘটনা হলে কোনও আসনই ‘বিপদমুক্ত’ নয়। ইমার্জেন্সি এক্সিটের ধারে বসলেও দুর্ঘটনায় জীবন রক্ষা একেবারেই নিশ্চিত নয়। সবটাই নির্ভর করে দুর্ঘটনার ধরন আর ভাগ্যের উপর। তবু মানুষের মনে গেঁথে গিয়েছে ১১এ। এখন টিকিট কাটার সময় সকলের একটাই প্রশ্ন, ১১এ সিট খালি আছে?
দেখুন অন্য খবর