ওয়েব ডেস্ক: দেশের শাসকদলের নেতা, মন্ত্রী এমনকী সাধারণ সমর্থকরাও ‘গুজরাত মডেল’ (Gujarat Model) কথাটা জোরালো গলায় উচ্চারণ করেন। সেই উচ্চারণে মিশে থাকে গর্ব, দেশের সেরা রাজ্য হিসেবে গুজরাতকে তুলে ধরার অহঙ্কার ঝরে পড়ে। কিন্তু গর্ব, অহঙ্কারের সঙ্গে পশ্চিমের রাজ্যটার বাস্তব চিত্র মেলে কি? না, মেলে না।
গুজরাত সরকারের (Government of Gujarat) ওয়েবসাইটে বড় বড় করে লেখা, এই মডেলের ভিত্তি হল গ্রামীণ, প্রান্তিক মানুষের উন্নয়ন, উন্নয়ন যজ্ঞে তাঁদের শামিল করাই মডেলের লক্ষ্য। কিন্তু বাস্তব চিত্র কেমন? গ্রামের মানুষজন একফোটা পানীয় জলের জন্য হাহাকার করেন। নেই শিক্ষা, নেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সাপের কামড় মানেই নির্ঘাত মৃত্যু, দ্রুত চিকিৎসা পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। এটাই হল গুজরাত মডেলের বাস্তব চিত্র।
আরও পড়ুন: ৩০টিরও বেশি ওষুধ এবার নিষিদ্ধ করল কেন্দ্রীয় ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা
নর্মদা জেলার বিখ্যাত সর্দার সরোবর জলাধার থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি আদিবাসী গ্রাম। আজও সেখানকার বাসিন্দারা একবিন্দু জলের জন্য হাহাকার করেন। জল জীবন মিশনের মাধ্যমে ২০২৪ সালের মধ্যে নরেন্দ্র মোদির রাজ্যের প্রত্যেক বাড়িতে নিরাপদ এবং পর্যাপ্ত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল গুজরাত সরকার। ২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে তা ফাঁকা প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই নয়।
মোদিজির গর্বের স্ট্যাচু অফ ইউনিটি (Statue of Unity) থেকে কয়েক কিমি দূরের চপত গ্রামে নেই কোনও সড়ক। গ্রামের শিশুদের লেখাপড়ার জন্য কোনও স্কুল নেই, নেই উপযুক্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা। আদিবাসী এক ব্যক্তিকে সাপে কামড়েছিল, চিকিৎসা করাতে তাঁকে নিয়ে যেতে হয় ১০ কিমি দূরের হাসপাতালে। তো এই হল ‘গুজরাত মডেল’।
দেখুন অন্য খবর: