সন্তান হাতে রাস্তায় অসহায়ের মতো ঘুরছে মা। সদ্যোজাত যমজকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তা নেই। বেশ কিছুক্ষন মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রনায় ছটফট করার পর ব্যার্থ হন তিনি। চিকিৎসার অভাবে রাস্তাতেই মারা যায় দুটি সন্তান। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলায়।
জানা গিয়েছে, পালঘর জেলার মোখাদা তহসিলের বাসিন্দা, বন্দনা। সাত মাসের গর্ভাবস্থায় তার বাড়িতে যমজ সন্তানের জন্ম দেন। দুটি সন্তানই খুব দুর্বল ছিল। তাই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। ৩ কিমি পাথুরে রাস্তা পেরিয়ে মহিলাটিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু মাঝপথে রক্তপাত বেড়ে যাওয়ায় তাদের থামতে হয়। মহিলার অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়। পরিবারের সদস্যরা দড়ি, বিছানার চাদর এবং কাঠ ব্যবহার করে একটি অস্থায়ী স্ট্রেচার তৈরি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করে। কিন্তু তাতেও কোনও সুরহা হয়নি।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ওই মহিলাকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে পাহাড়ের ঢাল বরাবর ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছেন পরিবারের লোকেরা। মহিলার রক্তক্ষরণে বালিশ, বিছানা ভিজে গিয়েছে। ততক্ষণে ওই মহিলা জ্ঞান হারিয়েছেন। বাচ্চা দুটিকে বাঁচানোর দৃঢ়প্রতিজ্ঞা নিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারেননি পরিবারের সদসস্যরা। আপাতত স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই মহিলা।
মহারাষ্ট্রের বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি চিত্র কিশোর ওয়াঘ ঘটনাটিকে “খুব বেদনাদায়ক” বলে বর্ণনা করেছেন। দুঃখ প্রকাশ করে টুইট করেছেন তিনি। লিখেছেন, সময়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা না পাওয়ায় যমজ শিশু মারা গিয়েছে।
বিজেপি নেতা আরও বলেছেন, রাজ্যের বেশ কয়েকটি অংশে রাস্তার অভাবের কারণে এমন অনেক ঘটনা ঘটছে। বিজেপির জাতীয় সম্পাদক পঙ্কজা মুন্ডে ঘটনাটিকে “খুবই দুর্ভাগ্যজনক” বলে অভিহিত করেছেন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এটি দুঃখজনক ঘটনা। যেখানে দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন করা হচ্ছে। সেখানে দরিদ্রদের এমন কষ্টের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।