ওয়েব ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) অংশগ্রহণকারী বলে রেহাই মিলবে না। পণের (Dowry) জন্য স্ত্রীকে খুনে অভিযুক্ত ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডোর (Black Cat Commando) উদ্দেশে মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। পণের জন্য বিয়ের সাত বছরের মধ্যে কোনও স্ত্রীর অগ্নিদগ্ধ হয়ে, শারীরিক আঘাতের কারণে বা অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যুর ক্ষেত্রে ৩০৪-খ ধারায় অভিযোগ নথিবদ্ধ হয়। এই ধারায় অভিযুক্ত দেশের সর্বোচ্চ কমান্ডো বাহিনীর ওই সদস্যের আবেদন অগ্রাহ্য করে দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া ও বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রন।
অপারেশন সিঁদুরে অংশ নেওয়া ওই কমান্ডো বিগত কুড়ি বছর ধরে ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডো হিসেবে রাষ্ট্রীয় রাইফেলসে (Rasthriya Rifles) কর্মরত। এই প্রেক্ষাপটে আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আত্মসমর্পণের নির্দেশে স্থগিতাদেশের আবেদন করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: রেল লাইনে সংস্কার, একাধিক দূর পাল্লার ট্রেন বাতিল, গতিপথ সংক্ষিপ্ত
আদালতের পাল্টা মন্তব্য, এমন কারণে বাড়িতে হওয়া নৃশংসতার জন্য আদালত রক্ষাকবচ দিতে পারে না। বরং এই যোগ্যতা দেখিয়ে দেয় আবেদনকারী শারীরিকভাবে কতটা শক্তিশালী। এমনকী একাই স্ত্রীকে দমবন্ধ করে মেরে ফেলার ক্ষেত্রে কতটা সক্ষম।
উল্লেখ্য, স্ত্রী হত্যার অভিযোগে দশ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ ইতিমধ্যেই আবেদনকারীর বিরুদ্ধে বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। আদালত বলে, ঘটনাটি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। বিশেষত যেভাবে আপনার স্ত্রীকে দম বন্ধ করে মারা হয়েছে। ছয় মাস বা এক বছরের মতো সাজা যেখানে ঘোষিত, তেমন ক্ষেত্রে আত্মসমর্পণের নির্দেশে ছাড় দেওয়া যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে নয়।
আবেদনকারীর সওয়াল, এক্ষেত্রে খুন নয়, পণের জন্য মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে। তাও একটি মোটরসাইকেলের দাবিতে। যে দুজন সাক্ষী এই মামলায় রয়েছেন, তাঁরা দুজনেই মৃতার নিকটাত্মীয়। তাই সাজা পুনর্বিবেচনার যথেষ্ট সুযোগ আছে। নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আরজি বিবেচনা করে নোটিস জারি করা হচ্ছে। আত্মসমর্পণের নির্দেশ থেকে কোনও ছাড় নয়। আবেদনকারীকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ।
দেখুন অন্য খবর: