বিভিন্ন রাজ্যে বিধিনিষেধে জারি হওয়ার ফলে অনেকটাই কমেছে করোনা সংক্রমণ৷ ৭ মে দেশে দৈনিক সংক্রমণ যেমন ৪.১৪ লক্ষ পৌঁছেছিল, এখন তা কমে ৫০ হাজারের নিচে নেমেছে৷ ভ্যাক্সিনেসন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে চলায় দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা অনেকটাই সামলে নিয়েছে দেশ৷ বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ভারতকে ফের ধাক্কা দিতে পারে অতিমারীর তৃতীয় ঢেউ, যাতে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা শিশুদের। করোনার প্রথম ঢেউ দেশে আছড়ে পড়ার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজ৷ বাতিল হয়েছে বোর্ডের পরীক্ষা৷ অনলাইনে ক্লাস বন্ধ হয়ে ফের কবে স্কুলের পথে পা রাখতে পারবেন শিশুরা তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি আয়োগ বেশ কিছু ধারণা দিয়েছে রাজ্যগুলিকে৷ নীতি আয়োগ সদস্য ডঃ ভিকে পল সাংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কাটিয়ে ফের স্কুল খোলার বিষয়ে অনেকগুলো দিক বিবেচনা করতে হবে’৷ তাঁর মত, টিকাকরণ যত বাড়বে, শিক্ষকরা যত টিকা পাবেন, দূরত্ববিধি ও দৈনিক অভ্যাস যত বদলাবে, স্কুল খোলার পথ তত সুগম হবে৷ তবে স্কুলে সামাজিক দূরত্ব পালন করা শিশুদের পক্ষে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের বিষয়৷
আরও পড়ুন করোনার মেঘ কাটিয়ে ক্রমশ সুস্থতার পথে দেশ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে তৃতীয় ঢেউয়ের সতর্কবার্তা প্রায় সব দেশকেই দেওয়া হয়েছে৷ তৃতীয় ঢেউতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে শিশুদের৷ নীতি আয়োগ সদস্য ডঃ ভিকে পলের বক্তব্য, স্কুল খোলার ফলে বহুদেশে নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়েছে৷ ফলে বাধ্য হয়ে স্কুল বন্ধ করে দিতে হয়েছে৷ আত্মবিশ্বাস যতক্ষণ না আসছে আমরা শিশু এবং শিক্ষকদের বিপদে ফেলতে চাই না।
আরও পড়ুন ৭৬ দিনের মাথায় রাজ্যে নামল করোনার গ্রাফ
স্কুল-কলেজ খোলার ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করে ঝুঁকি নিতে চাইছে না কেন্দ্র সরকার। এর আগে সিবিএসই বোর্ডের দশম এবং দ্বাদশের পরীক্ষা বাতিল হয়েছিল। পূর্ববর্তী পারফর্ম্যান্সের ওপর ভিত্তি করেই ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারও। স্কুল খোলা নিয়ে তাই তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না কেন্দ্র৷