নয়াদিল্লি: রবিবার মুজাফফরনগরের মহা পঞ্চায়েতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘রণংদেহী’ হয়ে উঠলেন ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন নেতা রাকেশ টিকাইত। ‘কৃষি বিল প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরবে না’ মহাপঞ্চায়েতের মঞ্চ থেকেই এমনই হুঙ্কার ছাড়লেন প্রতিবাদী কৃষক নেতা।
সভায় সমবেত অজস্র কৃষকের সামনে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “যতক্ষণ না পর্যন্ত কেন্দ্র কৃষি বিল প্রত্যাহার করছে, ততক্ষণ আমিও ঘরে ফিরব না”।মহাপঞ্চায়েতে জনসমর্থন প্রসঙ্গে শনিবার তিনি বলেন, “মহাপঞ্চায়েতের সমর্থনে সভায় যত মানুষের সমাগম হবে তা হাতে গোনা অসম্ভব। আমি কথা দিচ্ছি রবিবার সভায় প্রচুর মানুষ মহাপঞ্চায়েতে সমবেত হবেন।”
যদিও মহা পঞ্চায়েতকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে যথেষ্টই ভিড় ও জনসমাগম হয়েছে মুজাফফরনগরে। এই ভিড় প্রসঙ্গে টিকাইত বলেন, “প্রয়োজন হলে আমি মোটরসাইকেলে করে পৌঁছে যাব সভায়। তবু আমাকে যে মঞ্চে যেতেই হবে।” আজ ৫ সেপ্টেম্বরের মহা পঞ্চায়েত ‘ঐতিহাসিক’ হবে বলে টুইট করেছেন টিকাইত।
আরও পড়ুন: রবিবার দেশের ১৫ টি রাজ্য থেকে মহাপঞ্চায়েতে যোগ দেবেন কৃষকেরা
মহাপঞ্চায়েতে জনসমুদ্র
আগামী বছর ২০২২, তার আগে কৃষকদের আন্দোলন নিঃসন্দেহে অস্বস্তি বাড়াবে যোগী সরকারের। এই প্রসঙ্গে রাকেশ টিকাইত বলেন, ” আজকের দিন আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের অভিযান এখান থেকেই শুরু হল।” উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশ ছড়াও আগামীদিনের পাঞ্জাব হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সেই রাজ্যগুলিতেও নিজেদের ‘জমি উর্বর’ করতে মিশন উত্তর প্রদেশ, মিশন হরিয়ানা, ও মিশন পঞ্জাবের ডাক দিয়েছেন টিকাইতরা। পাশাপাশি আগামী দিনেও গোটা দেশে কৃষক আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এগোবেন বলে জানিয়েছেন রাকেশ টিকাইত।
मुजफ्फरनगर में 5 सितंबर की किसान महापंचायत ऐतिहासिक होगी ।
5 सितंबर चलो मुजफ्फरनगर#FarmersProtest— Rakesh Tikait (@RakeshTikaitBKU) September 3, 2021
কিষান মহাপঞ্চায়েতে যোগ দিতে রবিবার দেশের ১৫ টি রাজ্য থেকে উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে সমবেত হয়েছেন কৃষকেরা। গত দিনগুলোর তুলনায় এদিনের মহা পঞ্চায়েত সর্বাপেক্ষা বৃহত্তম হতে চলেছে বলে সংযুক্ত কিষান মোর্চা তরফে জানানও হয়েছে। এদিনের মহা পঞ্চায়েতের জন্য ১০০ টি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে থাকবেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
আরও পড়ুন: কৃষি বিলের প্রতিবাদে ২৫ সেপ্টেম্বর ভারত বনধের ডাক কৃষক সভার
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বরেই আন্দোলনের ১০ মাস পূর্ণ হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় কৃষি বিলের বিরুদ্ধে গত নভেম্বর থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন কৃষকেরা। কেন্দ্রের সঙ্গে দফা বৈঠক হলেও তা কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। তাই সমাধান সূত্র বের করতে বৃহত্তর আন্দোলনকে একমাত্র হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন কৃষকেরা।