শ্রীনগর: উপত্যকায় পাথর ছোড়ার ঘটনায় রাশ টানতে চায় কাশ্মীর প্রশাসন৷ কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে ‘দেশবিরোধীদের’ জব্দ করতে উঠে পড়ে লাগল পুলিশ৷ শান্তি ও আইন শৃঙ্খলা নষ্ট হয় এমন ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে সে৷ দেওয়া হবে না পাসপোর্টও৷ এমনই নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ-প্রশাসন৷
আরও পড়ুন: উলটপুরাণ, বেশি করে গোরুর মাংস খাওয়ার পরামর্শ বিজেপি মন্ত্রীর
কাশ্মীর সিআইডি-র স্পেশাল ব্রাঞ্চের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে৷ রবিবার নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, দেশবিরোধী কাজকর্ম করলে, সেনাদের উপর আক্রমণ করলে, পাথর ছুড়লে সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে৷ মিলবে না নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছাড়পত্র৷ যার মধ্যে রয়েছে পাসপোর্ট ভ্যারিফিকেশন৷ পাসপোর্ট ভ্যারিফিকেশন না হলে সেই ব্যক্তি অন্য দেশে যেতে পারবে না৷ সিআইডি-র তরফে এই নির্দেশ সমস্ত ইউনিটের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে৷
ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ, এলাকার পুলিশের বয়ান এবং সংবাদমাধ্যম থেকে সংগৃহীত ছবি থেকে অভিযুক্তদের তালিকা তৈরি করতে হবে৷ পাসপোর্ট বা অন্য কিছু ভ্যারিফিকেশনের সময় ওই তালিকা খতিয়ে দেখতে হবে৷
আরও পড়ুন: গরিবদের জন্য কাজ করে বিজেপি সরকার: অমিত
২০১৯ সালের অগাস্টে কাশ্মীর থেকে তুলে নেওয়া হয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা৷ সেই থেকে এক বছরের বেশি সময় ‘স্টোন পেল্টিংয়ের’ মতো ঘটনা বিশেষ ঘটেনি৷ তবে পাথর ছোড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অতীতে বারবার উত্তাল হয়েছে কাশ্মীর৷ বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর পাথর ছোড়ার ঘটনা বেড়ে যায়৷ অভিযোগ ওঠে, জঙ্গিরা টাকার বিনিময়ে কাশ্মীরি যুবক-যুবতীদের পাথর ছোড়ার কাজে ব্যবহার করত৷ প্রশাসনের তরফে তাদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার বহু চেষ্টা হয়েছে৷