নয়াদিল্লি: টেপ ফাঁস কাণ্ডে স্বস্তি পেলেন নীরা রাডিয়া৷ বুধবার তাঁকে ক্লিনচিট দিল সিবিআই৷ ২০১৩ সালে এই কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিয়ে ১৪ বার প্রাথমিক অনুসন্ধানে নেমেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি৷ ন’বছর ধরে তদন্ত চলার পর সিবিআই সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে দেয়, সব অনুসন্ধান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ নীরা রাডিয়ার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি৷ তাঁকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে৷ তবে সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইকে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে৷
সুপ্রিম কোর্টে নীরা রাডিয়া বনাম রতন টাটা মামলার শুনানির সময় এই তথ্যটি সামনে আসে৷ ২০০৯ সালে কর্পোরেট লবিস্ট রাডিয়ার সঙ্গে আয়কর দফতর, রাজনীতিক, আমলা, শিল্পপতি এবং টাটা গোষ্ঠীর একাধিক শীর্ষ কর্তার ফোনালাপ ফাঁস হয়ে যায়৷ রতন টাটার সঙ্গে রাডিয়ার কথাবার্তাও ফাঁস হয়৷ এ নিয়ে সেই সময় ব্যাপক শোরগোল পড়ে৷ তখন গোপনীয়তা রক্ষায় আদালতে আবেদন করেন রতন টাটা৷ তাঁর দাবি, ব্যবসায়িক শত্রুতার কারণে মিডিয়ায় ওই সব টেপ ফাঁস করে দেওয়া হয়৷
এদিন সেই মামলায় সিদ্ধান্ত লুথরা, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি, প্রশান্ত ভূষণের মতো আইনজীবীরা আদালতে হাজিরা দেন৷ শীর্ষ আদালতকে সিবিআই জানায়, তদন্ত চলাকালীন মোট ৫৮০০টি টেপ খতিয়ে দেখা হয়৷ তবে এসবের পিছনে ফৌজদারি অপরাধমূলক কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল বলেন, গোপনীয়তা রক্ষা নিয়ে আদালতের রায়ের পর এই মামলায় আর অবশিষ্ট কিছুই নেই৷ প্রশান্ত ভূষণ এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের দাবি তোলেন৷ আগামী ১২ অক্টোবর এই মামলার শুনানি হবে৷