জয়পুর: উদয়পুরের হত্যাকাণ্ডে নতুন করে মামলা শুরু করল এনআইএ। বুধবারই এনআইএ তদন্তকারী অফিসাররা উদয়পুরে পৌঁছে কাজ শুরু করে দেন। এনআইএ এদিন ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় ধৃত দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। একইসঙ্গে মামলা করা হয়েছে ইউএপিএ আইনেও। ধৃত রিয়াজ আখতারি ও গউস মহম্মদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উদয়পুরের ধানমণ্ডিতে নৃশংসভাবে খুন হন স্থানীয় দর্জি কানহাইয়ালাল তেলি। অভিযুক্ত রিয়াজ এবং গউস ওই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিয়ো করে তা সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়। সেখানে তাদের দুজনকে ধারালো অস্ত্র হাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নানা হুমকিও দিতে দেখা গিয়েছে। মুহূর্তে সেই ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়ে যায়। উত্তেজনা ছড়ায় উদয়পুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘটনার পরই সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয় আতঙ্কে। প্রতিবাদে রাস্তায় নামে সাধারণ মানুষ। প্রশাসন উদয়পুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় কার্ফু জারি করে। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। ঘটনার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই অবশ্য মূল অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিস।
আরও পড়ুন: Duttapukur Murder: দত্তপুকুরে পাট ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় ২ টি আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার ৩
রাজস্থানে বিজেপি আগেই ওই ঘটনার এনআইএ তদন্ত দাবি করেছিল। মঙ্গলবার বেশি রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এনআইএকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেইমতো বুধবার ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় এনআইএ-র দল। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই ধানমণ্ডি থানায় এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করেছিল পুলিসই। স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবারও উদয়পুরের সাতটি থানা এলাকায় কার্ফু জারি রয়েছে। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। দলমতনির্বিশেষে সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সংগঠন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে।
কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি দফায় দফায় পুলিস ও প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও সারেন। আজ সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন।