প্রয়াগরাজ: মাওবাদী যোগ সন্দেহে শিবকুটি সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়েছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) (NIA)। সন্দেহভাজন কয়েকজন যুবককে আটক করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে নকশাল কার্যকলাপের জন্য ধরা পড়েছিলেন রীতেশ বিদ্যার্থী । তার ভাই সত্যেশ বিদ্যার্থী ও অন্যদের খোঁজে সোমবার রাতে প্রয়াগরাজ পৌঁছে এনআইএ দল। এরপর শিবকুটি ও অন্যান্য এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। খোঁজ করা হয় সত্যেশের স্ত্রী সোনিয়া আজাদের।
প্রয়াগরাজের বিভিন্ন জায়গায় তদন্তকারী সংস্থার চারটি দল হানা দেওয়ার খবর রয়েছে। এদিন সকালে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ (Uttar Pradesh police) নগরীর শিবকুটি এলাকায় মানবাধিকার কর্মী ও লেখিকা সীমা আজাদের বাড়িতেও তল্লাশি চালায়। সীমা আজাদ এবং তার স্বামী বিশ্ব বিজয় এর আগে উসকানিমূলক সাহিত্য এবং দেশবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার জন্য জেল খেটেছেন। সীমা আজাদ (Seema Azad) দস্তক পত্রিকার সম্পাদকও হয়েছেন। তাঁর ফোন টেপের মাধ্যমে গুপ্তচরবৃত্তি মামলায় সীমা আজাদের নামও উঠে আসে। সীমা আজাদের বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কিছু আপত্তিকর সাহিত্যও উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ভারত মাতা কি জয়’ পোস্ট অমিতাভের
বারাণসীর বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের (Banaras Hindu University, Varanasi) ছাত্র সংগঠনের অফিসে এনআইএ-র আচমকা অভিযানে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ইউপির ৫টি জেলায় অভিযান চালায়। দলটি আজমগড়, দেওরিয়া, বারাণসী, প্রয়াগরাজ (Prayagraj) এবং চান্দৌলিতে তল্লাশি অভিযান চালায়। বারাণসীতে, বিএইচইউ-এর ছাত্র সংগঠন অফিসে দল ভগৎ সিং ছাত্র মোর্চার অফিসে তল্লাশি চালায়। কার্যালয়ে উপস্থিত বিএসএমের সভাপতি আকাঙ্ক্ষা আজাদ ও যুগ্ম সম্পাদক সিদ্ধিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁর ফোনও বাজেয়াপ্ত করেছে এনআইএ। কাউকে অফিসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
সংস্থার সদস্যদের সন্দেহজনক দেশবিরোধী কার্যকলাপের বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এনআইএ টিম অভিযান চালায়। এনআইএ সহ পুলিশ এবং অন্যান্য আধিকারিকরা ক্যাম্পাসে উপস্থিত রয়েছেন। NIA সূত্রের খবর, মাওবাদী কার্যকলাপ সংক্রান্ত একটি মামলায় এই অভিযান চালানো হয়েছে।