ওয়েব ডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়া এআই-১৭১ (Air India Flight 171 Crash) দুর্ঘটনায় স্বজনহারাদের হাহাকার। হাসপাতালে স্বজনহারা কান্না। প্রিয়জনের দেহাবশেষ ফিরে পেতে আমেদাবদের সিভিল হাসপাতালে ভিড় প্রিয়জনদের। হাসপাতালে ডিএনএ শ্যম্পেল দেওয়ার ভিড় স্বজনহারাদের। এর মধ্যে উঠে এল হৃদয়বিদারক ঘটনা। সদ্য বিবাহিতা মেয়েকে হারিয়ে হাসপাতালের সামনে কাঠের মতো দাঁড়িয়ে রাজস্থানের মদন সিংহ। লন্ডনে চিকিৎসক স্বামীর কাছে যাচ্ছিলেন রাজস্থানের তরুণী খুশবু। বাবা তাঁকে বিমানবন্দরে ছেড়ে আসেন। নতুন সংসার তৈরির স্বপ্ন নিয়ে বিমানে বসেছিলেন তিনি। কিন্তু সবশেষ। সব কিছু হারিয়ে কোনও রকমে নিজেকে সামলে হাসাপাতালে দাঁড়িয়ে কন্যা হারা পিতা।
রাজস্থানের বালোত্রা জেলার বাসিন্দা খুশবু সিং। ২ মাস আগে লন্ডনে চিকিৎসক বিপুলের সঙ্গে বিয়ে (Newly Wed Bride Dies Ahmedabad Plane Crash) হয়। স্বামী ফিরে গিলেও, ভিসা ও অন্যান্য কাগজপত্রের জন্য অপেক্ষা করে যান খুশবু। কয়েক দিন আগেই পাসপোর্ট হাতে পেয়ে স্বামীর কাছে লন্ডন যাচ্ছিলেন। বিমানে তুলতে সঙ্গে এসেছিলেন বাবা ও এক আত্মীয়। বৃহস্পতিবার অহমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানে চড়েন। খুশবু বিমানবন্দরের ভিতরে যাওয়ার পর তাঁর বাবা মেসেজে লেখেন, ‘লন্ডনে যাচ্ছ, নতুন জীবন। আর্শীবাদ রইল। মেয়েকে বিমানবন্দের পৌঁছে দিয়ে ফিরে আসছিলেন তাঁরা। খবর আসে মেয়ে যে বিমানে চেপেছেন তা ভেঙে পড়েছে। তবে যাত্রা শুরুর কিছু ক্ষণের মধ্যে ভেঙে পড়ে বিমানটি। মৃত্যু হয় খুশবুর।
আরও পড়ুন: ‘মৃত্যুঞ্জয়ে’র সঙ্গে কথা বললেন মোদি
খুশবুর বিমানের ওঠার আগের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন এক তরুণী। পরিবারের সদস্যদেরও চোখে জল। কাঁদতে কাঁদতে পরিবারের বড়দের প্রণাম করেন তরুণী। এর পর চোখে জল নিয়েই পরিবারকে বিদায় জানিয়ে একটি গাড়িতে চড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। পরিবারকে ছেড়ে লন্ডনে স্বামীর কাছে যাওয়ার আগে ওই ভাবে কাঁদছিলেন তিনি।খুশবুর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন রাজস্থানের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং বায়তুর বিধায়ক হরিশ চৌধরি।
অন্য খবর দেখুন