ওয়েবডেস্ক- মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মহিলা চিকিৎসক (Female Doctor) আত্মহত্যার ঘটনায় নয়া মোড়। পুলিশের হাতে উঠে এসেছে একাধিক তথ্য। এই কাণ্ডে দুই অভিযুক্ত হল সাসপেন্ড হওয়া এসআই (SI) গোপাল বাদানে (sub-inspector Gopal Badane) ও তরুণীর বাড়িওলার ছেলে প্রশান্ত বাঙ্কার (Prashant Bankar) । সাতারার পুলিশ প্রধান তুষার দোশি জানিয়েছেন, মোবাইলে ফোনে পুলিশ আধিকারিক বাদানে ও বাঙ্কারের সঙ্গে কথোপকথনের চ্যাট পাওয়া গেছে। ২৮ বছরের তরুণী চিকিৎসক মৃত্যুর আগে একজনকে মেসেজ করেছিলেন।তিনি সেখানে লিখেছিলেন তিনি বিপদের মধ্যে রয়েছেন। চরম পদক্ষেপ নিতে চলেছেন।
জানা গেছে, মৃত্যুর ঠিক আগে ওই তরুণী চিকিৎসক বাড়িওলা প্রশান্ত বাঙ্কারের বাড়িতে পুজোয় শামিল হয়েছিলেন। সেখানে ও বাঙ্কার ও চিকিৎসকের মধ্যে তর্ক হয়, সেখান থেকেই চিকিৎসক হোটেলে ফিরে আসেন, সেখানে আত্মহত্যা করেন। পরের দিন চিকিৎসকের দেহ হোটেল থেকে উদ্ধার হয়। তাঁর হাতে তালুতে বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর গোপাল বাদানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগটি লিখে যান তিনি। প্রশান্ত বাঙ্কার একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।
আরও পড়ুন – মহারাষ্টে চিকিৎসকের আত্মহত্যা, গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টর
চিকিৎসকের সুইসাইড নোটে উল্লেখ, প্রশান্ত তাঁকে দীর্ঘদিন মানসিক হেনস্থা করছিল। সাতারা পুলিশ কর্তা তুষার দোশি জানিয়েছেন, প্রশান্ত বাঙ্কার ও সাসপেন্ডেড পুলিশ গোপাল বাদানে দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। মার্চ মাসে বাদেনের সঙ্গে ডাক্তারের সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনি বাঙ্কারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন।
হোটেল থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর আগে তিনি বাড়িতেই ছিলেন। তদন্তে জানা গেছে, বাদানে ও মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে একটি বিরোধ ছিল, যা আলোচনার মাধ্যমে মিটে যায়।
সংবাদমাধ্যমকে মহারাষ্ট্র মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন রূপালী চাকঙ্কর বলেন, চিকিৎসক লক্ষ্মী পুজোতে বাঙ্কারের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ছবি তোলা ঠিক মতো না হওয়ায়, দুজনের মধ্যে এই নিয়ে বচসা বাঁধে। এর পরেই বাঙ্কারের বাড়ি ছেড়ে চলে যান চিকিৎসক। বাঙ্কারের বাবা গিয়ে তাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনেন, কিন্তু সে আবার একটি লজে থাকার জন্য চলে যায়।
ফোনের কল রেকর্ড বলছে মার্চ পর্যন্ত পুলিশ গোপান বাদানের সঙ্গে চিকিৎসকের কথোপকথন হয়েছে, তার পর থেকে আর কোনও যোগাযোগ ছিল না। চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আগে বাঙ্কারকে মেসেজ করেছিলেন ওই চিকিৎসক। তিনি সেই রাতে বাঙ্কারকে ফোনও করেছিলেন। প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন চিকিৎসক।
দেখুন আরও খবর-
.