ওয়েব ডেস্ক: হঠাৎ বিজ্ঞপ্তি কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (Home Ministry Of India)। ২০২৪ সাল পর্যন্ত ভারতে আসা অ-মুসলিমরা কাগজপত্র ছাড়াই এ-দেশে থাকতে পারবেন। এই ইস্যুতে সরগরম হয়েছে বাংলা (West Bengal)। বাংলার জন্যই কি এই নোটিস? না-কি লক্ষ্য অসম (Assam)? উঠছে প্রশ্ন।
ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনারস অ্যাক্ট ২০২৫-এর (Immigration And Foreigner Act 2025) নয়া বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছে ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত যেসব হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন ও পার্সিরা ভারতে এসেছেন, তাঁরা কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে থাকতে পারবেন। এবার তাকানো যাক অসমের দিকে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৪-তে অসমে এনআরসি (NRC) হয়। ২০১৯-এর ৩১ অগাস্ট প্রকাশ পায় তার ফলাফল, যাতে ছিল ৩.১০ কোটি বাসিন্দার তথ্য, যার মধ্যে ১৯ লক্ষ বেনাগরিক। বহু মানুষ ডিটেনশন ক্যাম্পে।
আরও পড়ুন: CAA-র প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী!
এখন প্রশ্ন হচ্ছে অসমের বেনাগরিকদের কতজন হিন্দু, কত মুসলমান? কর্তৃপক্ষ কিন্তু তা জানায়নি। পাঁচ বছর পর ২০২৪-এ আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) এ ব্যাপারে আলোকপাত করেন। আসামে বাদ ১৯ লক্ষ নাগরিকের মধ্যে ৭ লক্ষ মুসলমান, ৫ লক্ষ বাঙালি হিন্দু, ২ লক্ষ অহমিয়া হিন্দু, দেড় লক্ষ গোর্খা হিন্দু এবং বাকি সাড়ে ৩ লক্ষের তথ্য হিমন্ত জানাননি। মনে করা হয়, এঁরাও হিন্দু। মোটকথায়, ১৯ লক্ষ বাদ পড়াদের মধ্যে ৭ লক্ষ মুসলমান, ১২ লক্ষ হিন্দু।
অসমে আসন্ন বিধানসভা ভোট, সাম্প্রদায়িকতা ছাড়া বিজেপির জেতা কঠিন। আসামে বাদ পড়া হিন্দুদের তথা সে-রাজ্যের হিন্দুদের মন জয়েই নয়া বিজ্ঞপ্তি? এই বিজ্ঞপ্তির মূল রচয়িতা কি হিমন্ত বিশ্বশর্মা? প্রশ্নটা শেষেমেশ রয়েই গেল।
দেখুন আরও খবর:
The post অসমের NRC-তে বাদ পড়া ১৯ লক্ষের মধ্যে ১২ লক্ষই হিন্দু! appeared first on KolkataTV.